রাজধানীতে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের সিসিটিভি মনিটরিং কন্ট্রোল রুম থেকে খুলনা ও বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ ও অন্যান্য কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করছে।
নির্বাচন কমিশনের সহকারী জনসংযোগ পরিচালক আশাদুল হক বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান, রাশেদা সুলতানা ও মো. আলমগীর নির্বাচন ভবনের বেজমেন্টে স্থাপিত সিসিটিভি মনিটরিং কন্ট্রোল রুম থেকে খুলনা ও বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সরাসরি মনিটরিং করছেন।
ইসির এই সহকারী জনসংযোগ পরিচালক আরও জানান, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট চলছে, কোথাও কোনো ধরনের গোলযোগ বা অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা কমিশনের নজরে পড়েনি।
প্রসঙ্গত, সোমবার সকাল ৮টায় প্রায় ৮ লাখ ভোটারের দুই নগরীর ৪১৫টি ভোটকেন্দ্রে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে একটানা চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
খুলনায় ভোটার সংখ্যা ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮৩৩ জন এবং নারী ২ লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৬ জন।
বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মোট ১৬৭ প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। এর মধ্যে সাতজন মেয়রপ্রার্থী।
তারা হলেন- আওয়ামী লীগের আবুল খায়ের আবদুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত, জাতীয় পার্টির(জাপা) প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন তাপস, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম, জাকের পার্টির মিজানুর রহমান। স্বতন্ত্র হিসেবে সাবেক মেয়র আহসান হাবিব কামালের ছেলে ছাত্রদলের সাবেক নেতা কামরুল আহসান রুপন (টেবিল ঘড়ি প্রতীকে), আলী হোসেন হাওলাদার (হরিণ প্রতীকে) এবং মো. আসাদুজ্জামান (হাতি প্রতীকে) মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
অপরদিকে, খুলনা সিটিতে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের তালুকদার আব্দুল খালেক্, জাতীয় পার্টির (জাপা) শফিকুল ইসলাম মধু, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আব্দুল আউয়াল ও জাকের পার্টির এসএম সাব্বির হোসেন। এছাড়া, টেবিল ঘড়ি প্রতীকে স্বতন্ত্রপ্রার্থী এসএম শফিকুর রহমান মুশফিকও ভোটের লড়াইয়ে রয়েছেন।
এই সিটিতে কাউন্সিলর পদে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন ১৭৭ জন প্রার্থী। দু’জন কাউন্সিলর প্রার্থী বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, খুলনা সিটি করপোরেশনের কেন্দ্রগুলোতে রয়েছে ২ হাজার ৩০০টি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। এসব ক্যামেরার মাধ্যমে কেন্দ্রীয়ভাবে ভোট পর্যবেক্ষণ করছে নির্বাচন কমিশন।
অন্যদিকে বরিশালে ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৮৯ জন এবং নারী ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮০৯ জন।
এই সিটিতে প্রতিটি ভোটকক্ষে একটি করে এবং প্রতিটি কেন্দ্রের প্রবেশ পথে দুইটি করে ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। এতে মোট ১ হাজার ১৪৬টি ক্যামেরা রয়েছে।