ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৩, ০২:৪৫ পিএম
দিনাজপুর পৌর শহরে সুমাইয়া আক্তার ওরফে হাসি (২৭) নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার পর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন তার স্বামী মনোয়ার হোসেন (৩৩)। দিনাজপুর পৌর শহরের ঘাসিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার সময় নিহত সুমাইয়া আক্তার হাসির ছোট ভাই ইসাহাক আলী বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন। এর আগে শুক্রবার ভোরে হত্যা করে দিন শেষে রাত ১০টার দিকে কোতোয়ালি থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন ওই গৃহবধূর স্বামী মনোয়ার হোসেন।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভিরুল ইসলাম দ্য রিপোর্টকে হত্যা, আত্মসমর্পণ ও মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, গত ২০ জানুয়ারি বীরগঞ্জ উপজেলার সুজালপুর কলেজপাড়া এলাকার আবদুল খালেকের মেয়ে সুমাইয়া আক্তারের সঙ্গে মনোয়ার হোসেনের বিয়ে হয়। স্বামী-স্ত্রী দুজনেরই এটা দ্বিতীয় বিয়ে। বিয়ের পর থেকে মনোয়ার তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে ঘাসিপাড়া এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন।
স্বামী মনোয়ারের দেওয়া প্রাথমিক তথ্যের বরাত দিয়ে কোতোয়ালি থানার ওসি জানান, গতকাল শুক্রবার ভোরের দিকে হাসিকে শ্বাসরোধে হত্যার পর মরদেহ ওয়ার্ডরোবে লুকিয়ে রাখেন স্বামী মনোয়ার। প্রায় ১৪ ঘণ্টা স্ত্রীকে লুকিয়ে রাখার পর তিনি নিজে থানায় হাজির হয়ে হত্যার কথা স্বীকার করেন। তার দেওয়া তথ্যসহ তাকে সঙ্গে নিয়ে স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে মনোয়ার জানায়, এক মাস আগে বিয়ের পরই তাঁর স্ত্রী সুমাইয়া একাধিকবার সাবেক স্বামীর কাছে ফিরে যাওয়ার কথা জানায়। এ নিয়ে প্রায়ই তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো। শুক্রবার বিষয়টি নিয়ে দুজনের কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁর স্ত্রীর শ্বাস রোধ করে হত্যা করেন মনোয়ার।
এ ঘটনায় সুমাইয়া আক্তার হাসির ছোট ভাই মামলা করেছেন উল্লেখ করে কোতোয়ালি থানার ওসি আরও জানান, মরদেহ রাত পৌনে ১১টায় উদ্ধার করে দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। শনিবার দুপুর ১টার সময় নিহত হাসির ছোট ভাই ইসাহাক আলী বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন। এরপরই আসামিকে আদালতে চালান দেওয়া হয়েছে।