করোনাভাইরাসের ভয়াবহ সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশে চলমান দেড় মাসের বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকার পর সারাদেশে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে নৌরুট গুলোতে লঞ্চ চলচল শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে।
সোমবার (২৪ মে) সকালে রাজধানীর সদরঘাট ঘুরে দেখা যায়, সকালে চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে একটি লঞ্চ ছেড়ে গেছে। সদরঘাট থেকে যাত্রী নিয়ে মুন্সীগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় আরও একটি লঞ্চ। এসব লঞ্চে প্রায় সব যাত্রীর মুখে মাস্ক পরা ছিল।
বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম ভূঁইয়া দ্য রিপোর্টকে বলেন,‘আগের মতোই স্বাভাবিকভাবে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে। মাস্ক পরে যাত্রীদের লঞ্চে ওঠার বিষয়টি মনিটরিং করা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেড় মাসের বেশি সময় ধরে লঞ্চগুলো অলস পড়েছিল। তাই সোমবার হাতে গোনা কয়েকটি লঞ্চ ছেড়ে গেছে। তবে কাল থেকে চলাচলের জন্য লঞ্চের সংখ্যা বেড়ে যাবে।’ নৌপথে ঢাকা-বরিশাল, ঢাকা-পটুয়াখালী রুটে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে বলেও তিনি জানান।
চাঁদপুর ও এর আশপাশের কয়েকটি জেলার মানুষের রাজধানীতে যাওয়ার অন্যতম প্রধান ও সস্তা বাহন হচ্ছে লঞ্চ। ভ্রমণ আরামদায়ক হওয়ায় চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী ও শরিয়তপুর জেলার অনেক এলাকার মানুষ এই রুটে লঞ্চে যাতায়াত করেন।
এদিকে, চলমান করোনাভাইরাসের নিষেধাজ্ঞার মধ্যে ৪৯ দিন বন্ধ থাকার পর লঞ্চে যাতায়াত করতে পেরে খুশি অনেক যাত্রী।
যাত্রীদের অনেকে বলেন, আমাদের দুর্ভোগ অনেকাংশে কমে গেছে। ঈদের আগে বাড়িতে আসার সময় লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় আমাদের অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছিল। ছোট যানে করে ও বার বার যানবাহন পাল্টিয়ে ওই সময় বাড়ি আসতে হয়েছিল। এতে ২০০/৩০০ টাকার পরিবর্তে আমাদের এক একজনের প্রায় দেড়/দুই হাজার টাকা খরচ হয়।
সদরহাট ছাড়াও সোমবার সকাল ৭টা থেকে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া, আরিচা-কাজিরহাট, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে লঞ্চ চলাচল করছে বলে জানা গেছে।
মাওয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সিরাজুল কবির দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘সকাল (সোমবার) ৭টা থেকে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে। বাসের যাত্রীরা সকালে ঘাটে নেমে লঞ্চে উঠছে। যাত্রীদের মাস্ক পরিধানকে বেশ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।’