দুর্নীতি মামলায় ৩০ দিনের মধ্যে বিচারিক আদালতের কাছে আত্মসমর্পনের জন্য আওয়ামী লীগের সাংসদ হাজি সেলিমকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একটি পূর্ণাঙ্গ রায়ে হাইকোর্ট বলেছে, হাইকোর্টের রায় বিচারিক আদালতের কাছে পৌছার পর থেকেই ৩০ দিন গণনা শুরু হবে। রায়ে হাইকোর্ট নিম্ন আদালতের একটি রায় তুলে ধরেছে যাতে হাজী সেলিমকে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের দায়ের করা একটি দুর্নীতি মামলায় দোষী সাবাস্ত করে ১০ বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। সেনাশাসিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালে ওই মামলাটি দায়ের করা হয়েছিলো। ৬৬ পৃষ্ঠার পুরো রায় পড়া দুদকের আইনজীবী খোরশেদ আলম জানিয়েছেন, হাজি সেলিমের বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতের দেওয়া সাজা হাইকোর্ট বহাল রাখায় সংবিধানের ২ নং ধারা অনুসারে হাজি সেলিম আর সংসদ সদস্য নন। তিনি জানিয়েছেন,আদালতে কাছে আত্মসমর্পণ করলে জেলে পাঠানো হবে হাজী সেলিমকে। তবে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে জামিনের আবেদন করতে পারবেন তিনি।
কোর্ট জানিয়েছে ঢাকা-৭ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য হাজি সেলিমের বিরুদ্ধে ১০ লাখ টাকার জরিমানাও বহাল রেখেছে হাইকোর্ট। ১৪ কোটি ৬৫ লাখ টাকা আয়ের উৎস দেখাতে না পারায় তাকে এ জরিমানা করা হয়। এছাড়া হাইকোর্ট বলেছেন,অবৈধভাবে আয় করা হাজী সেলিমের ২৭ কোটি টাকার সম্পদ বাজেয়াপ্তের রায়ও বহাল থাকছে।