মার্চ ১১, ২০২৩, ০২:৩০ পিএম
দেশের উন্নয়নে বেসরকারি বিনিয়োগকে উন্নয়নের প্রধান হাতিয়ার হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “ বিনিয়োগের ক্ষেত্রে লাল ফিতার দৌরাত্ম্য সরিয়ে দেওয়া হবে।” যে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে, সঙ্গে সঙ্গে বাস্তবায়নও হবে বলে জানান সরকারপ্রধান।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টাযর দিকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) তিন দিনব্যাপী দেশের সবচেয়ে বড় ব্যবসায়িক সম্মেলন “বাংলাদেশ বিজনেস সামিট, ২০২৩” উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সামিটের অন্যতম আকর্ষণ ‘বেস্ট অব বাংলাদেশ এক্সপো’রও উদ্বোধন করেন সরকারপ্রধান।
বাংলাদেশে বেসরকারি খাতে ব্যাবসায়ীদের বিনিয়োগের আহবান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বেসরকারি বিনিয়োগকে উন্নয়নের প্রধান হাতিয়ার হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। ব্যবসায়ীক পরিবেশের ওপর আওয়ামী লীগ সরকার সবচেয়ে বেশি গুরত্ব দিয়েছে। সেটি আরও সংস্কার ও ব্যবসাবান্ধব করা হবে। লাল ফিতার দৌরাত্ম্য সরিয়ে দেওয়া হবে। যে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে, সঙ্গে সঙ্গে বাস্তবায়নও হবে “
এ সময় ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলার অভিযাত্রায় শামিল হতে বেশি-বিদেশি বিনিয়োগের আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।
বিশ্বে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা তুলে ধরার লক্ষ্যে আয়োজিত এই সামিটের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। করোনায় পুরো বিশ্ব থমকে গেলেও আমাদের অর্থনীতি থামেনি। ২০০৬ এর ৬০ বিলিয়ন ডলারের জিডিপি এখন ৪৬৫ বিলিয়ন ডলারে পরিণত হয়েছে।”২০২৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের ২০তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ হবে বলেও জানান শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “নিজস্ব অর্থায়নের পদ্মা সেতু নির্মাণ করে বাংলাদেশ তাদের সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছে। আমরা যে পারি নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করে সেটা প্রমাণ করেছি। রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে কাজ শুরু করেছি।”
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, বিজনেস সামিটে যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, চীন, ভুটান, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ সাতটি দেশের মন্ত্রী, ১২টি বহুজাতিক কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ১৭টি দেশের দুই শতাধিক বিদেশী বিনিয়োগকারী প্রতিনিধি ও ব্যবসায়ী নেতারা অংশ নিচ্ছেন।
সংশ্লিষ্টদের মতে, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বাড়ানো, নতুন বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি করা এবং দেশে ব্যবসা সম্প্রসারণে সহায়তা করবে এই সামিট। বিভিন্ন কৌশলগত বিষয়ে তিনটি প্লিনারি সেশন, ১৪টি প্যারালাল সেশন, বিজনেস টু বিজনেস মিট, নেটওয়ার্কিং সেশন, একটি ওপেন হাউস রিসেপশন এবং আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিদের জন্য গাইডেড ট্যুর থাকবে এ সামিটে।
বাংলাদেশ বিজনেস সামিটে এফবিসিসিআইয়ের অংশীদার হিসেবে কাজ করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)।