সেপ্টেম্বর ৬, ২০২৩, ০৩:৫৬ পিএম
একদিকে কমেছে রপ্তানি আয়ের প্রবৃদ্ধি অন্যদিকে রেমিট্যান্সের পরিমাণ কমে গিয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের এই দুই উৎস ঝুঁকিতে পড়ে যাওয়ায় রিজার্ভও পড়েছে ঝুঁকিতে।
চলতি সপ্তাহে জুলাই-আগস্টের জন্য এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) দায় সুদসহ ১১০ থেকে ১২০ কোটি ডলার আমদানি দায় পরিশোধ করতে হবে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে। এ কারণে রিজার্ভ কমে নেমে গেছে ২২ বিলিয়ন ডলারের ঘরে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, আইএমএফের শর্ত মেনে রিজার্ভ গণনার কারণে সবশেষ রিজার্ভ ২৩ বিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি। আকুর দায় শোধ করা হলে তা কমে ২২ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নেমে আসবে।
এর আগে গত মাসে মে-জুনের জন্য ১১০ কোটি ডলারের আকু বিল পরিশোধ করা হয়। জুলাই-আগস্টে আমদানি প্রায় সমপরিমাণ ছিল। ফলে এবার আমদানি দায়ও প্রায় সমপরিমাণই শোধ করতে হবে। এ দায়ের জন্য ৫ শতাংশের বেশি হারে সুদ পরিশোধ করতে হয়।
ডলার সাশ্রয় করতে সরকার আমদানি নিয়ন্ত্রণ করছে। এতে আমদানির দায় হিসেবে ডলার সাশ্রয় হলেও বাস্তবে ডলারের মজুত বাড়ছে না। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ৪৩২ কোটি ডলারের ঋণপত্র খুলেছেন ব্যবসায়ীরা।
গত বছরের একই মাসে ঋণপত্র খোলা হয়েছিল ৬৩৫ কোটি ডলারের। সে হিসাবে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় গত জুলাইয়ে ঋণপত্র খোলা কমেছে ৩১ দশমিক ১৯ শতাংশ। ২০২২-২৩ অর্থবছরে আমদানি ১৫ দশমিক ৮১ শতাংশ কমে গিয়েছিল।