আকর্ষনীয় প্যাকেজ আর ধামাকা অফারে চলছে পর্যটন মেলা

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

এপ্রিল ১, ২০২২, ০১:৪৬ এএম

আকর্ষনীয় প্যাকেজ আর ধামাকা অফারে চলছে পর্যটন মেলা

করোনার ধাক্কা সামলে নিয়ে দেশের পর্যটনশিল্পকে চাঙা করতে রাজধানীতে শুরু হয়েছে তিনদিনব্যাপী পর্যটন মেলা। পর্যটনশিল্প খাতের অন্যতম সংগঠন ট্যুর অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’র (টোয়াব) আয়োজনে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে চলছে এই মেলা। এতে দেশি-বিদেশি ৮০টি ট্যুর অপারেটরস কোম্পানি নানা ধরণের আকর্ষণীয় ট্যুর প্যাকেজ ও ধামাকা অফার নিয়ে পর্যটকদের আকৃষ্ট করছে।

অনেক ট্যুর কোম্পানি পর্যটন মেলায় নতুনত্ব নিয়ে এসেছে। তাদের রয়েছে ছাড়(ডিসকাউন্ট) দেওয়ার প্রতিযোগিতা। এসব কোম্পানির মধ্যে একটি কন্টিনার ফরমেশন। এই কোম্পানিটি গ্রুপ ট্রাভেলের বিভিন্ন অফারের পাশাপাশি নিয়ে এসেছে কন্টিনার দিয়ে তৈরি রিসোর্ট, সুইমিং, অফিস ও কোল্ড স্টোর। ৪০ ফিটের কন্টিনার পাওয়া যাচ্ছে ৪ লাখ ৬০ হাজার টাকায়। আর ৩০ ফিটের কন্টিনার পাওয়া যাচ্ছে ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকায়।

এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের বিক্রয়কর্মী মুজিবুল হক দ্য রিপোর্ট ডট লাইভকে বলেন, “আমরা মেলায় ট্রাভেলসের পাশাপাশি রিসোর্ট ও সুইমিং পুল করে দিচ্ছি। অনেক জেলায় আমাদের কোম্পানির খালি জায়গা পড়ে আছে।  ওইসব জায়গায় হয় অফিস নইলে বাড়ি করে দিচ্ছি। এর পাশাপাশি আমরা কোল্ড স্টোরের কন্টিনারও আমরা নিয়ে এসেছি। এসব কন্টিনারে মাছ, মাংস ও সবজিসহ বিভিন্ন পণ্য মজুদ করে রাখা যাবে।”

শুধু কন্টিনার ফরমেশন নয় শীতলক্ষা নদীকে কেন্দ্র করে বিশাল ট্যুর অফার নিয়ে এসেছে গ্রীণ হলিডেস নাম একটি ট্যুর অপারেটর্স কোম্পানি।  ৫০০ টাকা দিয়ে বুকিং করলেই ৫০ শতাংশ ছাড়ে এক বছর এই নদী ভ্রমন করতে পারবেন পর্যটকরা।

এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির বিক্রয়কর্মী আঞ্জুমান দ্য রিপোর্ট ডট লাইভকে বলেন, “এবারের মেলায় আমরা নতুন করে শীতলক্ষ্যা নদীকে সামনে রাখছি। কাঞ্চন ব্রিজ ঘাট থেকে এখন ঘুরাঘুরির ব্যবস্থা শুরু হওয়ায় আমরা পুরো শীতলক্ষ্যা নদী ভ্রমণের ব্যবস্থা রেখেছি। নদী ভ্রমণে আমরা দুইটি ঐতিহাসিক স্থান-মুড়াপাড়া  জমিদার বাড়ি ও শীতলক্ষ্যা জামদানী শাড়ির হাট দেখানোর ব্যবস্থা রেখেছি। পর্যটকরা  ৫০০ টাকা দিয়ে বুকিং করলেই অর্ধেক খরচে এক বছর এই নদী ভ্রমন করতে পারবেন।”  

পর্যটন মেলায় পাশপাশি চলছে হোটেল ও জমি বিক্রি। এ বিষয়ে সেঞ্চুরি গ্রুপ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের সেলসম্যান সিলভিয়া আক্তার দ্য রিপোর্ট ডট লাইভকে বলেন, “আমরা এই মেলায় আমাদের হোটেল ও কিছু ল্যান্ড নিয়ে এসেছি। মূলত আমরা এখানে হোটেলের শেয়ার বিক্রির কাজ করছি। এছাড়াও আমাদের কোম্পানির ক্রয় করা ল্যান্ডও বিক্রি করা হচ্ছে। যেহেতু কুয়াকাটার প্রতি এখন মানুষের আগ্রহ অনেক বেড়ে গেছে। তাই আমরা সমুদ্র সৈকতের আশপাশে আমরা  অন্যসময় কাঠাপ্রতি জমি ৮লাখ টাকায় বিক্রি করলেও মেলা উপলক্ষে এখন ৫-৬ লাখ টাকায় বিক্রি করছি। এছাড়াও আমরা ক্রয়ের ক্ষেত্রে ৬ হাজার টাকা মাসিক কিস্তির ব্যবস্থা করেছি। ৫-৬ বছরের জন্য কিস্তিতে সবাই জায়গা কিনতে পারবেন।”

তবে পর্যটন মেলায় এখন পর্যন্ত আশানুরুপ দর্শনার্থীর আগমন ঘটেনি বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাবেদ আহমেদ। তিনি দ্য রিপোর্ট ডট লাইভকে বলেন, যে পরিমাণ দর্শনার্থী আমরা আশা করেছিলাম, তা আমরা পাইনি। তবে আশা করছি কাল (শুক্রবার) পর্যন্ত যেহেতু মেলা চলবে, তাই দর্শনার্থীর সংখ্যাও বাড়বে। আর আমরা যে উদ্দেশ্য নিয়ে পর্যটন মেলার আয়োজন করেছি, সে উদ্দেশ্য আমাদের সফল হবে।”  

Link copied!