জয়ের ছত্রছায়ায় ছাত্রলীগে সক্রিয় চাকুরিজীবীরা

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

অক্টোবর ৫, ২০২২, ১১:৫২ এএম

জয়ের ছত্রছায়ায় ছাত্রলীগে সক্রিয় চাকুরিজীবীরা

প্রবাদে আছে, কারো পৌষ মাস, কারো সর্বনাশ! বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে শোভন-রাব্বানীর সর্বনাশ ও জয়-লেখকের দায়িত্ব গ্রহণ যেন আশীর্বাদ হয়ে এসেছে কিছু নেতাকর্মীর জন্য।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সাবেক সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে বহিষ্কার করার পর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দায়িত্ব পান আল নাহিয়ান খান জয় ও লেখক ভট্টাচার্য। তাদের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব গ্রহণের পর থেকেই নতুন করে জেগে উঠেছে আল নাহিয়ান খান জয়ের অনুসারীরা।

বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনায় আছেন ছাত্রলীগ সভাপতির দুই অনুসারী। এদের মধ্যে একজন এস এম রিয়াদ হাসান, অপরজন মোঃ আমানুল্লাহ আমান। ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র অনুসারে কোনো চাকুরিজীবী ছাত্রলীগের পদে না থাকতে পারবে না- এমন নিয়ম থাকলেও এই দুজন ছাত্রলীগে পদ পেয়েছেন।

ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশনের সহকারী ব্যবস্থাপক পদে কর্মরত রিয়াদ হাসান এক কমিটিতেই পদ পেয়েছেন দুইবার। বর্তমানে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি পদে অবস্থান করছেন তিনি। এর আগে রিয়াদ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটিতে প্রথমে সাহিত্য বিষয়ক উপসম্পাদক ছিলেন।

২০১৮ সালে ছাত্রলীগে অনেকটাই নিস্ক্রিয় হয়ে পড়েন এসএম রিয়াদ হাসান। এরপর আল নাহিয়ান খান জয় সভাপতি পদে পদান্বিত হলে আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী রিয়াদ ঢাবিতে অধ্যয়নের সময়সীমা শেষ হয়ে গেলেও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সভাপতির প্রভাব খাটিয়ে এখনো থাকেন শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে।

অপরদিকে, আমানুল্লাহ আমান শিক্ষাজীবন শেষে এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী কর্মরত আছেন। এর আগে সাইফুর'স এর হেড অব অনলাইন মার্কেটিংয়ের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। নিয়মবহির্ভূতভাবে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতেও আছেন গুরুত্বপূর্ণ পদে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৩-১৪ সেশনের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী আমানুল্লাহ আমানও প্রথমদিক থেকে রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন। শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের উপপ্রচার সম্পাদক পদ দিয়ে তার রাজনৈতিক পরিচয়ের সূচনা হয়। এরপর এই হলের সহসভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন।

সোহাগ-জাকির কমিটিতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য হিসেবে ছিলেন আমান। শোভন-রাব্বানী দায়িত্বে এলে তাদের কমিটিতে কোনো পদ পাননি তিনি তাই রাজনীতি থেকে নিজেকে প্রায় গুটিয়ে নিয়েছিলেন। কিন্তু জয়-লেখক দায়িত্ব পাওয়ার পর পুনরায় সক্রিয় হয়ে উঠেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত থাকলেও অধিকাংশ সময় আমানকে দেখা যায় ছাত্রলীগ সভাপতির সঙ্গে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার অধিকাংশ ছবি জয়ের সঙ্গে। কখনো জয়ের সঙ্গে একই গাড়িতে, আবার কখনো সভাপতিকে মোটরসাইকেলের পেছনে বসিয়ে নিজেই চালাচ্ছেন।

ঢাকার অভ্যন্তরে ও বাইরে সকল জায়গায় আল নাহিয়ান খানের সঙ্গে থাকেন আমানুল্লাহ আমান। ছাত্রলীগের বর্ধিত কমিটিতে কেন্দ্রীয় গ্রন্থনা ও প্রকাশনা উপসম্পাদক পদে পদান্বিত হয়েছেন তিনি। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সভাপতির প্রভাব খাটিয়ে তিনিও দখলে নিয়েছেন শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের একটি কক্ষ।

Link copied!