বরিশাল নগরীর রূপাতলী হাউজিংয়ে গভীর রাতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মেসে হামলা চালানো হয়েছে। রূপাতলী স্ট্যান্ডের পরিবহন শ্রমিকরা ওই হামলা চালিয়েছে বলে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন। নারকীয় ওই হামলায় ১১ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তাদেরকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা যায়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে ‘লাঞ্ছিত’ করার অভিযোগে বিআরটিসির এক কর্মীর বিরুদ্ধে। তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। পরে এদিনই মধ্যরাতে শিক্ষার্থীদের মেসে হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলার প্রতিবাদে বুধবার সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বরিশাল-পটুয়াখালী সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা।
বরিশাল মেট্রোপলিটন বন্দর থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, “পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। সেখানে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আমরা শিক্ষার্থীদের আশ্বাস দিয়েছি, হামলায় জড়িতদের তদন্ত সাপেক্ষে আইনের আওতায় আনা হবে।”
বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা জানান, ঘটনার সূত্রপাত হয় মঙ্গলবার দুপুরে। সজল নামের এক শিক্ষার্থী রুপাতলী বাসস্ট্যান্ডে গিয়েছিলেন যাশোরের বাসের টিকেট কাটতে। সেখানে বিআরটিসির কাউন্টারের কর্মীদের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সেখানে তাকে লাঞ্ছিত করা হয়।
অভিযোগ মতে, বরিশাল-পটুয়াখালী মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাউসার হোসেন শিপনের নেতৃত্বে একদল পরিবহন শ্রমিক লাঠিসোঁটা নিয়ে ওই হামলা চালায়।
অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্ন করলে মিনিবাস মালিক সমিতির নেতা কাউসার বলেন, “আমি ঘটনা জানিও না। এর সঙ্গে আমি জড়িত নই।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক আরিফ হোসেন বলেন, “আজ বেলা ১১টায় উপাচার্য, বাস-মালিক সমিতি ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে বৈঠক হবে। আমরা সমাধানের চেষ্টা করছি।”