অনেক শিক্ষকের গবেষণা ওই শিক্ষকের ছাত্ররা নকল করেছে-এমন নজির থাকলেও শিক্ষকের বিরুদ্ধে এবার ছাত্রের গবেষণা নকল করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমন ঘটনা ঘটেছে গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। তবে ওই শিক্ষক ঘটনা অস্বীকার করেছেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও সাবেক চেয়ারম্যান মো. আনিসুজ্জামানের বিরুদ্ধে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর সম্পূর্ণ গবেষণা নকল করার অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে থিসিসটির সুপারভাইজার খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সয়েল, ওয়াটার এন্ড ইনভায়রনমেন্ট ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক ড. জগদীশ চন্দ্র জোয়ারদার গণমাধ্যমকে জানান, “ওই শিক্ষক অন্যের গবেষণা নিজের নামে চালিয়ে দিয়েছেন। এ বিষয়ে আমাদের হেড(প্রধান) এর কাছে আপনি বিস্তারিত জানতে পারবেন।”
এ বিষয়ে সয়েল, ওয়াটার এন্ড ইনভায়রনমেন্ট ডিসিপ্লিনের হেড অধ্যাপক কুদরত এ কিবরিয়া গণমাধ্যমে বলেন, “প্রথমে তত্বাবধায়ক এমন একটি অভিযোগ দেন। পরবর্তীতে আমরা কয়েকজন মিলে গবেষণা পত্র দুটি মিলিয়ে দেখি। পার্টিকুলার অংশটি শতভাগ নকল করেছেন বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষক আনিসুজ্জামান। পরবর্তীতে আমরা বশেমুরবিপ্রবি রেজিস্ট্রার দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।”
অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করে বশেমুরবিপ্রবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মো. মোরাদ হোসেন গণমাধ্যমে বলেন, `লিখিত অভিযোগের বিষয়ে উপাচার্যকে জানানো হয়েছে।‘
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও সাবেক চেয়ারম্যান মো. আনিসুজ্জামান। ছবি: সংগৃহীত
এদিকে, অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কৃষি বিভাগের সাবেক সভাপতি মো. আনিসুজ্জামান। তিনি গণমাধ্যমে বলেন, “খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরিফ নামে এক শিক্ষার্থী আমার কাছে একটি গবেষণা পত্র প্রকাশ করার জন্য আসে। সে সময় আমি তার ও আমার নামে গবেষণাটি প্রকাশ করি। পরবর্তীতে জানতে পারি সেটি অন্যজনের লেখা। এরপর আমি মেইল করে জার্নাল থেকে গবেষণাটি সরিয়ে ফেলার ব্যবস্থা করি। আমি গবেষণা চুরি করিনি।”