আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে খুলবে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। তবে ১৫ অক্টোবর শুক্রবার হওয়ায় ১৭ তারিখ থেকে খোলা হবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ইউজিসি, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্য ও শিক্ষা সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দপ্তরগুলোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ। বলেন, ‘আমরা আশা করছি আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের টিকাদান সম্পন্ন হবে। এরপর, অক্টোবরের ১৫ তারিখ থেকে তারা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলতে পারবে’।
বৈঠকে ১৫ অক্টোবর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় খোলার কথা জানানো হয়। কিন্তু ১৫ অক্টোবর শুক্রবার হওয়ায় সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে খোলার তারিখ ১৭ অক্টোবর (রবিবার) করা হয়।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, সার্বিক তথ্য বিবেচনার পর সন্তোষজনক হলে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার অনুমতি দিতে পারে ইউজিসি’। তবে যেসব বিশ্ববিদ্যালয় টিকা কার্যক্রম শেষ করতে পারবে না তাদের বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যদের (ভিসি) সঙ্গে আলোচনা শেষে ইউজিসি চেয়ারম্যান কাজী শহীদুল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীর সিদ্ধান্ত জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামী ১৭ অক্টোবর থেকে ধাপে ধাপে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলা যেতে পারে। তবে তার আগে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে কতজন শিক্ষক-শিক্ষার্থী টিকা নিয়েছেন তার তথ্য ছক আকারে ইউজিসিতে পাঠাতে হবে। এবং কতজন টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন, আর কতজন এক ডোজ নিয়েছেন, আবাসিক হলগুলোর কতজন শিক্ষার্থী টিকার আওতায় এসেছে এ সংক্রান্তও তথ্য ইউজিসিতে পাঠাতে হবে’।
এছাড়াও যেসব শিক্ষার্থীর জাতীয় পরিচয়পত্র থাকার পরও টিকা পাননি তাদের তথ্যও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ইউজিসিতে পাঠাতে বলা হয়। এমনকি যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই তাদের তথ্যও পাঠাতে হবে। যাতে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে দ্রুত সময়ে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা যাবে। না হলে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হবে।