নভেম্বর ৫, ২০২৩, ০৮:০৫ পিএম
আবারও ঢাকার আশুলিয়ায় ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এলাকাবাসীর সংঘর্ষ হয়েছে। স্থানীয় মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানো হয়। সংঘর্ষে সাতজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
রবিবার সন্ধ্যার পরে আশুলিয়ার চাঁনগাও এলাকায় এই সংঘর্ষ হয়।
পুলিশ, শিক্ষার্থী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে দোকানে কেনাকাটা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের এলাকা চানগাঁও বাজারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
তখন এলাকাবাসী স্থানীয় মসজিদের মাইক থেকে ছাত্রদের ওপর হামলার ঘোষণা দেয়। তখন স্থানীয় লোকজন ক্যাম্পাসের ভেতরে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে এবং ক্যাম্পাসের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করে। কিন্তু শিক্ষার্থীদের প্রতিরোধের মুখে তারা ভেতরে ঢুকতে পারেনি।
পরে শিক্ষার্থীরা বাইরে বেরিয়ে বিক্ষোভ করেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা বেশ কয়েকটি দোকান ভাঙচুর করেন এবং সড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ সময় মেহেদী হাসান নামে এক শিক্ষার্থী আহত হন। তাকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ বদরুজ্জামান জানান, ‘ সন্ধ্যার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলছিলাম। হঠাৎ খবর আসে, চানগাঁও এলাকায় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করা হয়েছে। এতে আমাদের সাত-আটজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।’
সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করে আশুলিয়া থানা-পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আরাফাত উদ্দিন বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেন, কিছুদিন আগে শিক্ষার্থী অন্তর হত্যার জের ধরে শিক্ষার্থীরা স্থানীয় বাজারে যে হামলা চালিয়েছিল, তাতে এলাকাবাসীর মধ্যে যথেষ্ট ক্ষোভ রয়েছে। সেই ক্ষোভ থেকেই স্থানীয়রা আজ সুযোগ পেয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়।
উল্লেখ্য, গত ২৭ অক্টোবর তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির হাবিবুল হাসান অন্তর নামের শিক্ষার্থীকে মারধর করে স্থানীয় কয়েকজন যুবক। পরে ২ নভেম্বর নিজ এলাকা ময়মনসিংহের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান অন্তর। এ ঘটনার পরদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে স্থানীয় বাজারে দোকানপাট ভাঙচুর চালান। একই দিন হত্যাকাণ্ডের অন্যতম প্রধান আসামি রাহাতকে গ্রেফতার করে পুলিশ।