শীতকে বরণ করে নিতে রাবি ক্যাম্পাসে বাহারি পিঠা উৎসব

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

নভেম্বর ১৫, ২০২৩, ০৪:৪৩ পিএম

শীতকে বরণ করে নিতে রাবি ক্যাম্পাসে বাহারি পিঠা উৎসব

সুস্বাদু পিঠার স্বাদ নিতে সকাল থেকেই উৎসবে ভিড় করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

আজ অগ্রহায়ণের প্রথম দিন। এ দিনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো দিনব্যাপী নবান্ন উৎসব ও পিঠা মেলা। বাঙালি সংস্কৃতির নানা অনুষঙ্গের সাথে মিল রেখে স্টলগুলোর নাম রাখা হয়। যেমন: হৃদয় হরণ, আলকানন্দা, ক্ষীর পুলির আসর, রক্তকরবী, শেকড়ের টান, পৌষাল, ঢেঁকির বৈঠকখানা। চন্দ্রপুলি, হৃদয় হরণ, জামাই পিঠা, কুশলী পিঠা, নকশি পিঠা, পাটিসাপটা, দুধপুলি, গোলাপ পিঠা, রসভরিসহ বাহারী পিঠার দেখা মেলে স্টল গুলোতে। সুস্বাদু এসব পিঠার স্বাদ নিতে সকাল থেকেই উৎসবে ভিড় করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় কৃষি অনুষদের সামনে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে নবান্ন উৎসবের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সুলতান-উল-ইসলাম। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোনমি অ্যান্ড এগ্রিকালচারাল এক্সটেনশন বিভাগ এই উৎসবের আয়োজন করেছে ।

দিনটি উদযাপন উপলক্ষ্যে অনুষদের সামনে থেকে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এছাড়া এগ্রিকালচারাল এক্সটেনশন বিভাগের শিক্ষার্থীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিনটি উদযাপন করে।

পিঠা উৎসবে আসা দর্শনার্থীরা বলছেন, শীতের শুরুতে এমন উৎসব বেশ আনন্দের। এখানে বৈচিত্র্যময় পিঠা মেলা বসেছে। যেটা আমরা সবসময় পাই না। এমন আয়োজন আরও বেশি বেশি হোক।

উৎসবে পিঠার সবগুলো স্টল দিয়েছেন এগ্রিকালচার এক্সটেনশন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, প্রতি বছর-ই আমাদের বিভাগ থেকে নবান্ন উৎসব আয়োজন করে। দিনটি আমরা উৎসবমুখর পরিবেশে কাটাই। এসময় আমরা বাহারী রকমের পিঠা তৈরি এবং বিক্রি করি। নবান্ন উৎসব আমাদের গ্রামীণ সংস্কৃতি।  

Link copied!