অর্থ মন্ত্রণালায়ের জারি করা পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবিতে পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। কলা ভবনের প্রধান ফটকের সামনে এই কর্মসূচি পালন ও সংবাদ সম্মেলন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (ঢাবিশিস)।
সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর জিনাত হুদা বলেন, “আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছি। কিন্তু কোনও সাড়া পাচ্ছি না। আমরা শিক্ষকদের স্বাক্ষর সংগ্রহ করছি, সেখানে ১ হাজার ১০০ শিক্ষক স্বাক্ষর করেছে এবং তা মন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করেও ইতিবাচক সাড়া পাইনি।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগ্রাম ও ঐতিহ্যের ইতিহাস তুলে ধরে শিক্ষকদের নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের এই প্রজ্ঞাপনকে বৈষম্যমূলক, মানবাধিকার বিরোধী ও সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলেও উল্লেখ করেন। প্রফেসর জিনাত হুদা বলেন, “এই আন্দোলন আমাদের সুবিধার জন্য নয়। এই আন্দোলন আমাদের সন্তানদের জন্য যারা ভবিষ্যতে এই শিক্ষকতা পেশায় আসবে। এই আন্দোলন শিক্ষা ব্যবস্থাকে সুরক্ষার আন্দোলন, এই আন্দোলন প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আন্দোলন।”
আরও পড়ুন: পেনশনে আমলাদের চেয়ে যে ৪ সুবিধা কমেছে শিক্ষকদের
বক্তব্য শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক ও সিনেট সদস্য অধ্যাপক মো. অহিদুজ্জামান বলেন, “সর্বজনীন পেনশন স্কিম সর্ব সাধারণের জন্য, ‘প্রত্যয়’ স্কিমের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সর্বসাধারনের কাতারে নামিয়ে আনা হয়েছে। এরকম হলে মেধাবীরা শিক্ষকতা পেশায় আসবে না।”
সম্মেলনে একাধিক প্রত্যয় স্কিমকে প্রত্যায় স্কিম সংক্রান্ত অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞাপ্তি প্রত্যাখ্যান করে একাধিক শিক্ষক বক্তব্য রাখেন। তাদের ভাষ্য, এটা ষড়যন্ত্রমূলক। অনেকে আমলাদের এই ব্যাপারে ইঙ্গিত করে। অনেকে স্বাধীনতা বিরোধী চক্র বলেও উল্লেখ করেছেন।
শিক্ষকদের এই আন্দোলন নিয়ে ছাত্রদের অভিমত সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী আরমানুল হক বলেন, “শিক্ষকদের দাবির সঙ্গে আমরা একমত। তাদের আন্দোলনের সফলতা চাই। কিন্তু আন্দোলনে লাইব্ররি ও মেডিকেল সেন্টার বন্ধ রাখা হয়েছে। যা অযক্তিক। বর্ষার সময় যে কোনও শিক্ষার্থী পড়ে গিয়ে আহত হতে পারে, অ্যাম্বুলেন্স লাগতে পারে। যেগুলো বন্ধ।”