নভেম্বর ৩০, ২০২৩, ০১:১৩ পিএম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বড় আকারের খেলার মাঠের সংখ্যা চারটি। এগুলো হলো- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ, জগন্নাথ হল সংলগ্ন মাঠ, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল সংলগ্ন মাঠ, হাজী মুহাম্মদ মহসিন হল সংলগ্ন মাঠ।
এই চারটি মাঠের মধ্যে হাজী মুহাম্মদ মহসিন হলের মাঠটি সকলের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত। জহুরুল হক হল এবং জগন্নাথ হলের মাঠ শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ব্যবহার করতে পারেন। এই হলের মাঠগুলো সাধারণত বিভিন্ন আন্তঃখেলাধুলা, সরস্বতী পূজা,আন্তঃহল বিতর্ক প্রতিযোগিতা ইত্যাদি কাজে ব্যবহার হয়।
তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জিমনেশিয়াম সংলগ্ন কেন্দ্রীয় মাঠটি শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ব্যবহারের কথা থাকলেও তা নিয়মিতভাবেই ব্যবহার করছে বহিরাগতরা। এমনকি বিভিন্ন টুর্নামেন্টেরও আয়োজন করা হয় এখানে। অর্থাৎ বিভিন্ন আয়োজনে সেন্ট্রাল ফিল্ড ভাড়া দেওয়া হয়। বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের এখানে খেলতে দেখা যায়।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) জনাব শাহজাহান আলী জানান, কেন্দ্রীয় মাঠ ভাড়া দেওয়ার ব্যাপারটি বৈধ। এ ব্যাপারটি কেন্দ্রীয়ভাবে সিন্ডিকেট সদস্যদের দ্বারা পরিচালিত এবং এর তত্ত্বাবধানে রয়েছে একটি বোর্ড। এই বোর্ডের মাধ্যমেই ভাড়া নির্ধারণ, কোনোদিন কাকে ভাড়া দেওয়া হবে ইত্যাদি বিষয় নির্ধারিত হয়।
শাহজাহান আলী আরও জানান, গুরুত্বপূর্ণ সময় ব্যতীত অফ সিজনেই শুধুমাত্র মাঠ ভাড়া দেওয়া হয়। এছাড়া প্রতি শুক্র এবং শনিবার সকালে মাঠটি ভাড়া দেওয়া হয় পূর্বনির্ধারিত কর্তৃপক্ষের কাছে। ভাড়া থেকে প্রাপ্ত অর্থ একটি সংশ্লিষ্ট বোর্ডে জমা রাখা হয়। তিনি আরও দাবি করেন, এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোনোরকম সমস্যায় পড়তে হয় না।
মাঠভাড়ার ব্যাপারে বলা হয়, একটি এথলেটিকস প্রোগামের জন্য প্রায় ৩৪ হাজার টাকা, প্রতি ফুটবল ম্যাচের জন্য ১৭ হাজার ৫০০ টাকা এবং ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজনের জন্য প্রায় ৭৫ হাজার টাকা, প্রতি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের জন্য ৩৪ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারিত রয়েছে।
কর্তৃপক্ষের দাবি প্রাপ্ত অর্থ শিক্ষার্থীদের নিমিত্তেই ব্যবহার করা হয়। যেমন মাঠ পরিচর্যা, নতুন নতুন ক্রীড়াসামগ্রী কেনা ইত্যাদি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোহাম্মদ মাকসুদুর রহমান বলেন, মাঠের ভাড়া দেওয়াতে শিক্ষার্থীদের খুব একটা সমস্যা হয় না। কেননা মাঠের একপাশ ভাড়া দিলেও অন্যপাশে শিক্ষার্থীদের খেলার জায়গা থেকেই যায়।
তবে শিক্ষার্থীদের মত যেন ভিন্ন। কেন্দ্রীয় মাঠে বহিরাগতদের আনাগোনায় শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এ নিয়ে ঢাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার নাদিম মুমশাদ বলেন, বিকাল বেলা বন্ধুদের নিয়ে ফুটবল খেলতে আসার জো নেই সেন্ট্রাল ফিল্ডে। অর্ধেক জায়গাই যেন দখল করে রাখে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা। অনেক সময় তাদের বললেও তারা জায়গা ছেড়ে দেয় না।
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি আখতারুজ্জামান বলেন, আমার দায়িত্ব পালনকালে আমি বিষয়টি নিয়ে আপত্তি করেছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠ বহিরাগতদের কাছে ভাড়া দেওয়া কখনোই কাম্য নয়।