২০২৩ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল রবিবার (২৬ নভেম্বর) প্রকাশিত হবে। এদিন সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফলের সারসংক্ষেপ তুলে দেবেন শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানেরা। এরপর সারা দেশে একযোগে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হবে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির প্রধান ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার জানান, সকাল ১০টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফলাফল হস্তান্তর করা হবে এবং তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশের কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন। এরপর বেলা ১১টায় শিক্ষার্থীরা ফলাফল পাবেন। তারপর বেলা দুইটায় রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ফলাফলের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরবেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
ঘরে বসেই পরীক্ষার ফল দেখতে পাবেন যেভাবে
শিক্ষার্থীরা অনলাইনে বা মুঠোফোনে তাঁদের ফলাফল জানতে পারবেন।
বেলা ১১টা থেকে শিক্ষার্থীরা মুঠোফোনে এসএমএসের মাধ্যমে তাঁদের ফলাফল জানতে পারবেন।
মুঠোফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে HSC লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম ৩ অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে আবার স্পেস দিয়ে পাসের বছর লিখে পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে।
উদাহরণ—HSC DHA 123456 2023 লিখে পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে। ফিরতি এসএমএসে জানা যাবে পরীক্ষার ফলাফল।
আলিমের ফল পেতে ALIM লিখে স্পেস দিয়ে Mad লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে 2023 লিখে 16222 নম্বরে পাঠাতে হবে।
কারিগরি বোর্ডের ক্ষেত্রে HSC লিখে স্পেস দিয়ে Tec লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে 2023 লিখে 16222 নম্বরে পাঠালে ফিরতি এসএমএসে ফল জানানো হবে।
এ ছাড়া ওয়েবসাইটে রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বরের মাধ্যমে দেখতে পারবেন এইচএসসি পরীক্ষার ফল।
তা ছাড়া ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট এ Result কর্নারে ক্লিক করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের EIIN এন্ট্রি করে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক Result sheet download করা যাবে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান অনলাইনের মাধ্যমে প্রাপ্ত ফলাফল ডাউনলোড করে প্রকাশ করার জন্য ওয়েবসাইটের Result কর্নারে ক্লিক করে প্রতিষ্ঠানের ইআইআইএনের মাধ্যমে ফলাফল ডাউনলোড করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
গত ১৭ আগস্ট শুরু হয়েছিল এ বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। এ বছর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ১১টি শিক্ষা বোর্ডের দুই হাজার ৬৫৮টি কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৩ লাখ ৫৯ হাজার ৩৪২ জন; এর মধ্যে ছাত্র ৬ লাখ ৮৮ হাজার ৮৮৭ জন এবং ছাত্রী ৬ লাখ ৭০ হাজার ৪৫৫ জন।
এবার পুনর্বিন্যাস করা পাঠ্যসূচি অনুযায়ী একটি বাদে সব বিষয়ে পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ে পরীক্ষা হয়েছে। শুধু তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) পরীক্ষা শেষ সময়ে এসে ১০০ নম্বরের পরিবর্তে ৭৫ নম্বরে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল।