‘প্রত্যয়’- স্কিম পেনশন ব্যবস্থা বাতিলের দাবিতে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (রাবিশিস)।
রোববার (৩০ জুন) বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত অবস্থান সংগঠনটি এই কর্মসূচি পালন করেছে। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী সোমবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষকরা।
রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক লায়লা আরুজু বানু বলেন, “এটা সরকার বা আওয়ামী লীগ এমন কোনও বিষয় না। এটা শিক্ষকদের অস্তিত্ব রক্ষার বিষয়। প্রধানমন্ত্রী ২৩ সালে সার্বজনীন পেনশন স্কিম ঘোষণা করার সময় বলেছেন যাদের পেনশন নেই তাদের জন্য। উন্নয়নের অংশ হিসেবে তিনি এটা দিয়েছেন। কিন্তু আমরা তো আগে থেকেই পেনশনের আওতায় রয়েছি। হঠাৎ করে আবার কেন আমাদেরও এর আওতায় আনা হলো। আমাদের বিরুদ্ধে এটা একটা ষড়যন্ত্র। এই স্কিম বাতিল না করলে মেধাবী শিক্ষার্থীরা এই পেশায় আসতে চাইবে না ফলে শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে।”
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ওমর ফারুক সরকার বলেন, “পূর্বঘোষণা অনুযায়ী বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের আগামীকাল সোমবার থেকে বাংলাদেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষাসহ একাডেমিক সব কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। এখানে আমরা একরকম বৈষম্যের শিকার। আজকে কোনও শিক্ষক যদি চাকরিতে যোগদান করে তবে সে প্রত্যয় স্কিমের আওতার বাইরে থাকবে। আবার আগামীকাল ১ জুলাই থেকে যদি জয়েন করেন তবে আপনি এই স্কিমের আওতায় আসবেন। চাকরি শেষে দেওয়ার জন্য আপনার বেতন থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা কেটে নেওয়া হবে। এটা কিন্তু প্রশাসনের কোনও বাহিনীর জন্য করা হয়নি। শুধু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য। এটা আমাদের জন্য অপমানজনক।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আগামীকাল থেকে বাংলাদেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস, পরীক্ষাসহ একাডেমিক সব কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। এখানে আমরা একরকম বৈষম্যের শিকার। আজকে কোনো শিক্ষক যদি চাকুরিতে জয়েন করে তবে সে প্রত্যয় স্কিমের আওতার বাইরে থাকবে, আবার আগামীকাল ১ জুলাই থেকে যদি জয়েন করেন তবে আপনি এই স্কিমের আওতায় আসবেন। চাকরি শেষে দেওয়ার জন্য আপনার বেতন থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা কেটে নেওয়া হবে। এটা কিন্তু প্রশাসনের কোনো বাহিনীর জন্য করা হয় নি। শুধু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য। এটা আমাদের জন্য অপমানজনক।”
গত ১৩ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, চলতি বছর ১ জুলাইয়ের পর থেকে স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার চাকরিতে যারা নতুন যোগ দেবেন, তারা বিদ্যমান ব্যবস্থার মতো আর অবসরউত্তর পেনশন-সুবিধা পাবেন না। তার বদলে নতুনদের বাধ্যতামূলক সর্বজনীন পেনশনের আওতাভুক্ত করা হবে।