ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৪, ০৮:৩৬ পিএম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের উদ্যোগে শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে মঞ্চস্থ হতে যাচ্ছে উক্ত বিভাগেরই নতুন প্রযোজনা ‘সিদ্ধান্ত’।
২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ০৫ মার্চ তারিখ পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটমণ্ডল মিলনায়তনে প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টায় সাত দিনব্যাপী মঞ্চস্থ হবে। নাটকটির নির্দেশনায় করেছেন নাট্য ব্যক্তিত্ব ও উক্ত বিভাগের জেষ্ঠ্য অধ্যাপক ড. ইসরাফিল শাহীন।
প্রযোজনাটি বিখ্যাত জার্মান নাট্যকার বার্টল্ট ব্রেখট রচিত ‘মেজারস টেকেন’ থেকে অনুবাদ ও পুনর্লিখন করেছেন একই বিভাগের শিক্ষক ড. শাহমান মৈশান।
নাটকটিতে অভিনয় করেছেন বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী মো. তানভীর আহম্মেদ, নাসরিন সুলতানা অনু, ওবায়দুর রহমান সোহান, প্রণব রঞ্জন বালা এবং বিভাগের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মনোহর চন্দ্র দাস।
নাটকের মঞ্চ ও আলোক পরিকল্পনা করেছেন অধ্যাপক ড. ইসরাফিল শাহীন, সহযোগিতা করেছেন ধীমান চন্দ্র বর্মণ, দেহবিন্যাস, চলন ও তাল বাদনে অমিত চৌধুরী। সংগীত পরিকল্পনা করেছেন ড. সাইম রানা এবং পোশাক পরিকল্পনা করেছেন মহসিনা আক্তার।
এছাড়াও, দ্রব্য পরিকল্পনা ও প্রয়োগে আহসান খান, এবং নির্মান সহযোগীতায় উম্মে হানি, মিমো, নিবিড়, তানজিমা, খাশ্রি, সিথি, মিমি, মিম, কথক, সাগরিকা, সোহান, উপমা, অথৈ। পোস্টার ডিজাইনে দেবাশিস কুমার। প্রচার ও প্রকাশনায় তানভীর নাহিদ খান, আহসান খান এবং কারিগরী সহযোগিতায় রয়েছেন শাহাবুদ্দিন মিয়া, কাজী রুবেল ও মজনু মিয়া।
নাটকটির নির্দেশক অধ্যাপক ড. ইসরাফিল শাহীন বলেন, সিদ্ধান্ত প্রকৃতপক্ষে কয়েকজন বিপ্লবীর এক সংকটাপন্ন পরিণতিকে নির্দেশ করে। এক তরুণ কমরেডের আবেগের সাথে কমিউনিস্ট পার্টির কৌশলগত বিপ্লবের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা সাংঘর্ষিক হয়ে ওঠে। আর পার্টি থেকে বিচ্যুত কিন্তু দুর্দশাগ্রস্ত জনতার প্রতি মমত্ববোধ সত্ত্বেও শুধুমাত্র বিপ্লবকে সমুন্নত রাখতে এই তরুণ কমরেডকে মৃত্যুর মতো পরিণতি বরণ করতে হয়। এই মৃত্যু হত্যা নয় আবার আত্মহত্যাও নয়, তাহলে কি এই মৃত্যু? বিপ্লব, সংঘাত ও ভাবাবেগের সংশ্লেষে নির্মিত নাট্য প্রযোজনা হলো ‘সিদ্ধান্ত’।
এর আগে, চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি ভারতের কেরালায় একটি আন্তর্জাতিক থিয়েটার ফেস্টিভ্যালে, ২৩ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের বিশ্ব ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি নিকেতনে এবং ২৪ জানুয়ারি রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘সিদ্ধান্ত’ নাটকের প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
উল্লেখ্য, জ্ঞান ও সাংস্কৃতিক চর্চায় প্রতিনিয়ই দক্ষতার সাথে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অবয়বে নাট্য প্রদর্শনীর আয়োজন করে আসছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার ও পারফরমেন্স বিভাগ। বছরজুড়ে বিভাগটি মঞ্চে আনে নতুন-নতুন নাটক। বছর শেষে আয়োজন করা হয় নতুন নির্দেশকদের নাটক নিয়ে কেন্দ্রীয় নাট্যোৎসব।