করোনা মহামারির কারণে বন্ধ থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো খুলে দিতে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। প্রায় এক বছর পর আগামী ১৩ মার্চ থেকে আবাসিক হলগুলো খুলছে। প্রথম পর্যায়ে শুধু স্নাতক শেষ বর্ষ ও স্নাতকোত্তর শ্রেণির পরীক্ষার্থীদের হলে তোলা হবে। পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্যও শিক্ষার্থীরা দুই সপ্তাহ সময় পাবেন ৷ করোনা পরিস্থিতির কারণে দেশের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতোই গত বছরের মার্চের মাঝামাঝি সময় থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা পরিষদের (একাডেমিক কাউন্সিল) সভায় রোববার ওই সিদ্ধান্ত হয়। এর আগে গত মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটি মার্চের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে হলগুলো খুলে দেওয়ার সুপারিশ করেছিল।
সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য (শিক্ষা) এ এস এম মাকসুদ কামাল গণমাধ্যমকে বলেন, স্নাতক শেষ বর্ষ ও স্নাতকোত্তরের যেসব সেমিস্টারের পরীক্ষাগুলো বিভাগগুলোর চেয়ারম্যান, ইনস্টিটিউটগুলোর পরিচালক ও অনুষদগুলোর ডিনেরা আলোচনার মাধ্যমে অগ্রাধিকারভিত্তিতে নেওয়ার সুপারিশ করবেন, সেই শিক্ষার্থীদের জন্য ১৩ মার্চ থেকে হল খুলে দেওয়া হবে ৷ স্নাতক শেষ বর্ষ ও স্নাতকোত্তরে অধ্যয়নরত যেসব শিক্ষার্থীর হলের আবাসিকতা আছে, তাদেরই হলে ওঠানো হবে ৷ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ফেরার আনুমানিক দুই সপ্তাহ পরে তাদের পরীক্ষা-কার্যক্রম শুরু হবে ৷ এই দুই সপ্তাহ কক্ষগুলো থাকার উপযোগী করা, পড়াশোনার ছন্দে ফেরা-অর্থাৎ শিক্ষার্থীদের ও হলের সামগ্রিক প্রস্তুতির জন্য দেওয়া হবে ৷ এ সময়ে কোনো ক্লাস নেওয়ার পরিকল্পনা নেই ৷ তবে শিক্ষার্থীরা যদি শিক্ষকদের সঙ্গে কোনো ধরনের আলাপ-আলোচনা করতে চান, তা করা যাবে ৷
সহউপাচার্য মাকসুদ কামাল আরও বলেন, আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভবন নিয়মিতভাবে পুরো সময় খোলা থাকবে ৷ ওই দিন থেকে পরীক্ষামূলকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চলাচল শুরু হবে, যাতে ধীরে ধীরে ক্যাম্পাসকে খোলার জন্য প্রস্তুত করা যায় ৷
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হলে গত বছরের ২০ মার্চ আবাসিক হলগুলো খালি করে দেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৷ এরপর গত জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ থেকে অনলাইনে ক্লাস শুরু হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষাগুলো আটকে আছে।