ছাত্রলীগ করার প্রস্তাব না মানায় শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

মার্চ ১, ২০২২, ০৪:৫৫ এএম

ছাত্রলীগ করার প্রস্তাব না মানায় শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগ

বিশ্ববিদ্যালয় ‘ক্যাম্পাসে থাকতে হলে ছাত্রলীগের রাজনীতি করতে হবে’, এমন শর্তে রাজি না হওয়ায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে রাতভর হলে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

নির্যাতনের শিকার হওয়া ওই শিক্ষার্থীকে আজ সোমবার ভোরে প্রথমে ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে দুপুরে বমি শুরু হলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। নির্যাতনের শিকার ওই শিক্ষার্থীর নাম ওয়ালিদ নিহাদ। তিনি লোকপ্রশাসন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।

মারধরের একপর্যায়ে অভিযুক্তরা ভুক্তভোগীর হাতে রামদা ধরিয়ে ভিডিও ধারণ করেন; গলায় রামদা ধরিয়ে সরকার বিরোধী কথাবার্তাও বলতে বাধ্য করেন। পরে ভুক্তভোগী ছাত্রের ফেসবুকে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছবি আপলোড করতে বাধ্য করেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।

পরে গুরুতর আহত অবস্থায় ভুক্তভোগী ছাত্রকে রাতেই ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয় পরে সকালের দিকে অসুস্থতা বেড়ে গেলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এই ঘটনায় ভুক্তভোগী ছাত্র প্রক্টর ও হল প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগে তিনি ছাত্রলীগ নেতা আবু নাঈম আব্দুল্লাহ, তার অনুসারী সমাজবিজ্ঞান বিভাগের পলাশ, নাট্যকলা বিভাগের হিমেল, লোকপ্রশাসন ও সরকার পরিচালনাবিদ্যা বিভাগের তুহিন, মুমিন, অর্থনীতি বিভাগের তানভীরসহ আরও ৫-৬ জন ছাত্রের নাম উল্লেখ করেছেন।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুপুরে ৭ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পরে তারা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি নেন। পরে ঘটনাস্থলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট পৌঁছে দাবির বিষয়ে আলোচনায় বসেন।

এ সময় বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট মাসুম হাওলাদার বলেন, শিক্ষার্থীদের ৭ দফা দাবির মধ্যে হল সংশ্লিষ্ট যে বিষয়গুলো রয়েছে তা হল প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। এই বিষয়টি নিয়ে জরুরি মিটিং আহ্বান করা হয়েছে। আজ সোমবারই হল সংশ্লিষ্ট দাবিগুলো বিবেচনায় নিয়ে এই মিটিং হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান বলেন, অপরাধী যেই হোক কোনো ছাড় দেয়া হবে না। বিধি অনুযায়ী দ্রুতই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এখানে অপরাধীর পরিচয় কিংবা অবস্থান বিবেচনায় নেওয়া হবে না।

Link copied!