দেশে এখনও ২৪ ভাগ জনগোষ্ঠী নিরক্ষর

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

সেপ্টেম্বর ৮, ২০২১, ০৪:১৭ পিএম

দেশে এখনও ২৪ ভাগ জনগোষ্ঠী নিরক্ষর

আজ ৮ সেপ্টেম্বর, আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস। ‘লিটারেসি ফর হিউম্যান-সেন্টার্ড রিকভারি: ন্যারোয়িং দ্য ডিজিটাল ডিভাইড’ অর্থাৎ ‘মানবকেন্দ্রিক পুনরুদ্ধারের জন্য সাক্ষরতা: ডিজিটাল বিভাজন কমিয়ে আনা’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশেও এই দিবসটি উদযাপিত হচ্ছে।

দেশের সাক্ষরতা বিস্তারে আন্তর্জাতিক ফোরামের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে ১৯৭২ সালে স্বাধীন দেশে প্রথমবারের মতো সাক্ষরতা দিবস উদযাপন করা হয়।দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে দেশের বিশাল জনগোষ্ঠীকে দক্ষ জনসম্পদে পরিণত করে বাংলাদেশকে উন্নয়নের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশের নিরক্ষর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে সাক্ষরতা ও জীবনমুখী দক্ষতা বৃদ্ধিতে বহুমুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।

বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ফলে দেশে সাক্ষরতার হার বাড়লেও এখনও সন্তোষজনক নয়।  করোনাভাইরাসের কারণে স্বাক্ষরতা বাড়ানোর জন্য নেওয়া বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়িত না হওয়ায় সাক্ষরতার হার কাঙ্খিত পর্যায়ে উন্নিত হয়নি।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০২০ সালের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী দেশে বর্তমান সাক্ষরতার হার ৭৫ দশমিক ৬ শতাংশ। বর্তমান সরকারের নানামুখী কর্মসূচির কারণে আগের তুলনায় সাক্ষরতার হার উত্তরোত্তর বাড়ছে। তবে এখনও প্রায় ২৪ দশমিক ৪ শতাংশ জনগোষ্ঠী নিরক্ষর। এই জনগোষ্ঠীকে সাক্ষর করতে না পারলে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন সম্ভব নয়।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন গত ৬ সেপ্টেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা অধিদফতর ও বর্তমানের উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো প্রায় ১ কোটি ৮০ লক্ষ নিরক্ষরকে সাক্ষরতা প্রদান করেছে। 

ওই সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও জানান, শিক্ষার সুযোগ বঞ্চিত জনগোষ্ঠিকে স্বাক্ষর জ্ঞানদান, জীবনব্যাপী শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি, কারিগরি ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জীবিকায়ন, দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করা, আত্ম-কর্মসংস্থানের যোগ্যতাসৃষ্টিকরণ এবং বিদ্যালয় বহির্ভূত ও ঝরে পড়া শিশুদের শিক্ষার বিকল্প সুযোগ সৃষ্টির জন্য সরকার উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা আইন করেছে।

Link copied!