করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের দাপটে অতিমাত্রায় বেড়ে যাওয়া সংক্রমণ পরিস্থিতি বর্তমানে উন্নতি হওয়ায় মাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার ঘোষণার এক দিনের মাথায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ও খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আগামী ১ মার্চ থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সশরীরে পাঠদান কার্যক্রম শুরু হবে।
শুক্রবার সকালে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান গনমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিকে সশরীরে ক্লাস শুরু
তুহিন বলেন, “১ মার্চ থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এদিন থেকেই প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে সশরীরে পাঠদান শুরু হবে।” এ বিষয়ে শিগগিরই অফিস আদেশ জারি করা হবে রলেও তিনি জানান।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা তুহিন আরও বলেন, “করোনা সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হবে। তবে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের সশরীরে ক্লাস শুরু হতে ১০ দিন বা দুই সপ্তাহ লাগতে পারে।
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে গোটা বিশ্বকে নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের এই প্রতিকূল স্রোতের মুখোমুখি বাংলাদেশও। অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মতো শিক্ষা খাতও বাংলাদেশের জন্য আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: নতুন কারিকুলামে স্কুল-কলেজে সাপ্তাহিক ছুটি ২ দিন
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে গেলে বন্ধের প্রায় দেড় বছর পর গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের দাপটে পরিস্থিতির অবনতি হলে আবারও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়ানো হয়।
আরও পড়ুন: এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার ব্যাপারে যা জানালেন শিক্ষামন্ত্রী
দেশে করোনা পরিস্থিতি বলা যায় আগের মতোই। প্রতিদিন মৃত্যু ও শনাক্তের শঙ্কা উঠানামা করছে। অন্যদিকে দরজায় কড়া নাড়ছে এসএসসি ২১ ব্যাচের পরীক্ষার সময়। গত বছর এসএসসি ২০২০ ব্যাচের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ফেব্রুয়ারিতে। এ বছর ফেব্রুয়ারি চলছে। কিন্তু এর মধ্যে পরীক্ষা নেওয়ার বা দেওয়ার মতো কোনো প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব হয়নি। অন্যদিকে করোনার ভয় রয়েছে। ফলে তড়িঘড়ি পরীক্ষা দিতে অনাগ্রহী শিক্ষার্থীরা।