২০২১ শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিকের বার্ষিক ও সমাপনী পরীক্ষার কোনোটাই অনুষ্ঠিত হচ্ছে না বলে জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। পরীক্ষার পরিবর্তে এ বছর পরবর্তী শিক্ষাবর্ষের জন্য সকল শ্রেণির শিক্ষার্থীদের স্ব স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক মূল্যায়ন করে তাদেরকে পরবর্তী শ্রেণিতে তুলে দেওয়া হবে।
সোমবার (৮ নভেম্বর) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুব রহমান তুহিন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, গত ২৬ অক্টোবরের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এর আগে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন গণমাধ্যমে বলেছিলেন, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে তাঁদের প্রস্তুতি আছে। কিন্তু ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার জন্য মাদ্রাসাগুলোর প্রস্তুতি নেই বলে তারা চায় পরীক্ষাটি না নেওয়া হোক। তাই পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্তের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, কোনো পরীক্ষা নেওয়া হবে না। মূল্যায়নের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করা হবে।
গত ২৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার সিদ্ধান্তে জানানো হয়, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে নির্দেশনা চেয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় যে সারসংক্ষেপ পাঠিয়েছিল প্রধানমন্ত্রী তাতে সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন।
গত শিক্ষাবর্ষে যেভাবে নিজ নিজ বিদ্যালয়ের মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হয়েছে, সেভাবে ২০২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা যেতে পারে বলে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০০৯ সাল থেকে প্রাথমিক সমাপনী ( পিইসি) পরীক্ষা নেওয়া শুরু করে সরকার। পরে মাদ্রাসার সমমানের শিক্ষার্থীদের জন্য ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষাও চালু করা হয়। প্রায় ৩০ লাখ শিক্ষার্থী এসব পরীক্ষায় অংশ নেয়। আর ২০১০ সালে জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা চালু হয়। এ পরীক্ষায় এখন মোট পরীক্ষার্থী ২৬ লাখের বেশি হয়।