শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের বিষয়ে যা জানালেন শিক্ষামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

মার্চ ৩০, ২০২১, ০৩:০১ এএম

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের বিষয়ে যা জানালেন শিক্ষামন্ত্রী

দেশে করোনার সংক্রমণ আবারও বাড়তে থাকায় কওমি মাদরাসাসহ সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। সোমবার (২৯ মার্চ) দেশে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ১৮টি নির্দেশনা জারির পর শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এ বিষয়ে কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘করোনাভাইরাস প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পক্ষ থেকে ১৮ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যার অন্যতম একটি নির্দেশনা হচ্ছে, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তথা প্রাক-প্রাথমিক থেকে শুরু করে প্রাথমিক, মাদরাসা, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।’

করোনার সংক্রমণ রোধে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। তবে বিশেষ অনুরোধে কওমি মাদরাসাগুলো চালু রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি ভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার অনেক বেড়ে গেছে। এই অবস্থায় নতুন করে এই নির্দেশনা জারি করলো সরকার। সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে কওমি মাদরাসাগুলোও অন্তর্ভুক্ত।

জানা যায়, করোনার সংক্রমণের মধ্যেই গত ১২ জুলাই থেকে কওমি মাদরাসাগুলোর হিফজ বিভাগ খুলে দেওয়ার অনুমতি দেয় সরকার। গত ৮ জুলাই এ বিষয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয় একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে।

এরও আগে গত ১ জুন থেকে দেশের কওমি মাদরাসায় ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে অফিস খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।

এরপর গত বছরের ২৫ আগস্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বিভাগ কওমি মাদরাসার কিতাব বিভাগ খোলার অনুমতি দেয়। এ সময় ছয়টি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনাগুলো হলো- প্রত্যেক শিক্ষার্থীর মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস ও মাথায় নিরাপত্তা টুপি পরিধান করা আবশ্যক; মাদরাসায় প্রবেশের আগে প্রবেশদ্বারে স্যানিটাইজ করতে হবে; শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ কক্ষে অবস্থান করবে, বিক্ষিপ্তভাবে এদিক-সেদিক চলাফেরা করা যাবে না; একজন শিক্ষার্থী থেকে অন্য শিক্ষার্থী কমপক্ষে তিন ফুট দূরত্বে অবস্থান করবে; কোভিড-১৯-এর কারণে কোলাকুলি ও মুসাফাহ করা যাবে না এবং শিক্ষক ও কর্মচারীরাও একইভাবে সরকারি স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে ক্লাস নেবেন।

Link copied!