স্বাস্থ্যের অবনতিতে হাসপাতালে ১৬ শিক্ষার্থী

নিজস্ব প্রতিবেদক

জানুয়ারি ২২, ২০২২, ০৯:১৮ পিএম

স্বাস্থ্যের অবনতিতে হাসপাতালে ১৬ শিক্ষার্থী

উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে ক্যাম্পাসে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এই দীর্ঘ সময়ে তাদের কেউই খাবার ও পানীয় গ্রহণ না করায় আরও একজনের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটেছে।

শনিবার বেলা  সোয়া ১১টার দিকে অনশনকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র শাহরিয়ার আবেদীনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়,  ২৩ অনশনকারীর ১৬ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বাকি ৭ শিক্ষার্থী উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন। অনশনরত শিক্ষার্থীদের পাশে চিকিৎসক ছাড়াও সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের ২০ থেকে ২৫ জনের একটি দল গত বৃস্পতিবার থেকে রয়েছে।  

নাজমুল হাসান নামে ওই দলের সমন্বয়ক গণমাধ্যমে বলেন, “২৩ জনের মধ্যে এরই মধ্যে হাসপাতালে যে ১৬ জনকে নেওয়া হয় তারাও অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন। ২৩ জনের সবাই কেউ কোনো ধরনের খাবার বা পানীয় নিচ্ছেন না। এমনকি তারা মুখেও স্যালাইন খেতে রাজি হচ্ছেন না। বাধ্য হয়ে শুধু শিরায় স্যালাইন দিতে হচ্ছে। পাশাপাশি ট্রিটমেন্ট চলছে।”

প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রভোস্ট জাফরিন আহমেদ লিজার দুর্ব্যবহারে অতিষ্ঠ হওয়াসহ নানা অব্যবস্থাপনার কারণে  গত ১৩ জানুয়ারি দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় আন্দোলনে নামেন হলের ছাত্রীরা। তারা হলের বাইরে অবস্থান নিয়ে হল প্রভোস্টের পদত্যাগসহ তিন দফা দাবি জানান।

একপর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টোরিয়াল কমিটির সদস্যেরা আন্দোলনকারী ছাত্রীদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেন।

পরে রাত আড়াইটার দিকে আন্দোলন প্রত্যাহার করেন বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের ছাত্রীরা। পরবর্তীতে ইতিবাচক সাড়া না পেয়ে  ফের আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা। রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরাও ইটপাটকেল ছুড়তে শুরু করে। এক পর্যায়ে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করলে শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া। এ সময় বিক্ষোভকারীদের হটিয়ে উপাচার্যকে মুক্ত করে পুলিশ।

গত ১৬ জানুয়ারি বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আইসিটি ভবনের সামনে অবস্থান নেওয়া শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এ সময় শিক্ষার্থীরাও ইটপাটকেল ছুড়তে শুরু করে। এক পর্যায়ে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করলে শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া। এ ঘটনার পর উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের পাশপাশি অনশন করে আসছে।

Link copied!