উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় `দিদি` (MIDHILI) - পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে আজ (১৭ নভেম্বর) বিকাল ৩টার দিলে উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করেছে এবং দুর্বল হয়ে বর্তমানে পড়ুয়া তৎসংলগ্ন এলাকায় গভীর নিম্নচাপ আকারে অবস্থান করছে। এটি স্থলভাগের অভ্যন্তরে আরো উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে দুর্বল হতে পারে।
গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর নিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়া অব্যাহত।
মিধিলি ৩টায় উপকূল অতিক্রম করে দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে পটুয়াখালী ও পাশের এলাকায় অবস্থান করছে। মংলা ও পায়রাকে নম্বর নামিয়ে ৩ ও চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
সকাল ছয়টা থেকে বিকাল তিনটা অবধি ১৪১ মিলি চাঁদপুর, ভোলায় ১৭৬ মিলি, বরিশালে ১৫৪ মিলি,ফেনী ৭৬ মিলি পটুয়াখালী ১৪৪ মিলি বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে ।
হাতিয়াতে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ৯৪ কিমি ভেঙে পটুয়াখালীতে ১০২ গতিবেগ পাওয়া গেছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেখা পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। নভেম্বরের মধ্যে পরবর্তী আর কোনো ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া পরিচালক আজিজুল হক। তবে ডিসেম্বরের ১০ তারিখ নাগাদ ফের ঘূর্ণিঝড়ের একটা সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আজকের পর থেকে বৃষ্টিপাত অনেকটাই কমে যাবে। আকাশ খানিকটা মেঘলা থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।