জুন ২২, ২০২৩, ০৭:৫২ পিএম
স্থিতিশীলতা, স্বাস্থ্যসেবা, সংস্কৃতি, পরিবেশ, শিক্ষা ও অবকাঠামো- এই পাঁচ সূচকের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বের বাসযোগ্য শহরের তালিকা করেছে ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ)। তাদের এই দ্য গ্লোবাল লিভেবিলিটি ইনডেক্স ২০২৩-এ ১৭৩টি দেশের মধ্যে শীর্ষে অবস্থান করছে অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা। আর বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার অবস্থান ১৬৬তম যা নিচের দিক থেকে সপ্তম।
তালিকার শীর্ষে থাকা ভিয়েনার পর আছে ডেনমার্কের কোপেনহেগেন; অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন ও সিডনি; কানাডার ভ্যাঙ্কুভার; সুইজারল্যান্ডের জুরিখ; কানাডার ক্যালগেরি; সুইজারল্যান্ডের জেনেভা; কানাডার টরন্টো। আর যৌথভাবে ১০ নম্বরে রয়েছে জাপানের ওসাকা ও নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড।
তালিকার শেষের দিক থেকে আছে সিরিয়ার দামেস্ক, লিবিয়ার ত্রিপোলি, আলজেরিয়ার আলজিয়ার্স, নাইজেরিয়ার লাগোস, পাকিস্তানের করাচি, পাপুয়া নিউগিনির পোর্ট মোর্সবি, বাংলাদেশের ঢাকা, জিম্বাবুয়ের হারারে, ইউক্রেনের কিয়েভ ও ক্যামেরুনের দৌয়ালা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোভিড-পরবর্তী সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ মার্চ পর্যন্ত বাসযোগ্যতার এ জরিপ হয়েছে। কিয়েভ বাদ দিয়ে বিশ্বের ১৭২টি নগরীর গড় স্কোর এখন ৭৬ দশমিক ২। গত বছর এ স্কোর ছিল ৭৩ দশমিক ২। গত ১৫ বছরের মধ্যে এ স্কোর সবচেয়ে বেশি। সব কটি ক্যাটাগরির মধ্যে স্বাস্থ্য খাত অপেক্ষাকৃত বেশি উন্নতি করেছে। আর শিক্ষা, সংস্কৃতি ও পরিবেশ এবং অবকাঠামোয় সামান্য উন্নতি আছে। তবে স্থায়িত্বের দিকটির অবনতি হয়েছে। দুর্নীতি ও জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে মানুষের অসন্তোষের কারণেই এটা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের সূচকেও বাসযোগ্য শহরের তালিকায় নিচের দিক থেকে সপ্তম ছিল ঢাকা। গত বছর ১৭২টি শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান ছিল ১৬৬তম।