প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি করা যাবে না: প্রধানমন্ত্রী

kEMlzpAX

ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৩, ০৫:১৫ পিএম

প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি করা যাবে না: প্রধানমন্ত্রী

অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সের (এএমআর) ভয়াবহতার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি বন্ধ করতে হবে। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে। 

রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনিওস ইনস্টিটিউট অব অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রিসার্চের বায়োলজি ডিপার্টমেন্টের পরিচালক অধ্যাপক টিমোথি ই ওয়ালশ। এ সময় বাংলাদেশে অ্যান্টিবায়োটিকের অপপ্রয়োগ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

পরে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের যত্রতত্র অ্যান্টিবায়োটিক কিনতে পাওয়া যায় এবং এটা বন্ধ করতে হবে। চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া যাতে অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি না হয় এবং ওষুধটির যথাযথ প্রয়োগ হয়, সে হিসেবে ওষুধ দিতে হবে।

অ্যান্টিবায়োটিকের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ চেষ্টা করছে এই অ্যান্টিবায়োটিক যাতে যত্রতত্র বিক্রি না হয়। আগে কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হতো, সেটা এখন বন্ধ করা হয়েছে।

এ সময় অধ্যাপক টিমোথি ই ওয়ালশ বলেন, বর্তমান বিশ্বে অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স-এএমআর মহামারি আকার ধারণ করেছে। এটা এখনই প্রতিরোধ করা না গেলে আগামীতে আরো ভয়াবহ রূপ নেবে এবং লাখ লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটাবে।

এএমআর বিষয়ক গ্লোবাল লিডার্স গ্রুপের কো-চেয়ার হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিভিন্ন কাজের প্রশংসা করেন অক্সফোর্ডের ওই অধ্যাপক।

জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট, শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতাল, হৃদরোগ, বক্ষব্যাধি, ক্যান্সার ও নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালের মতো বিশেষায়িত হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠাসহ দেশে স্বাস্থ্য খাতের সার্বিক উন্নয়নে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ওষুধের পাশাপাশি সরকার কৃষি, বেসিক সায়েন্স এবং মেডিক্যালসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গবেষণায় বিশেষ জোর দিয়েছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি-উপবৃত্তি দেওয়ার পাশাপাশি উচ্চশিক্ষার জন্য বিশেষ করে পিএইচডি, পোস্ট ডক্টোরাল এবং গবেষণার ক্ষেত্রে ২০০টি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফেলোশিপ দেওয়া হয়।

সাক্ষাতে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অধ্যাপক ইনিওস ইনস্টিটিউট অব অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রিসার্চ থেকে বঙ্গবন্ধু আইওআই ফেলোশিপের অধীনে মেডিক্যাল এবং বেসিক সায়েন্সে গবেষণায় বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদেরকে স্কলারশিপ দেওয়ার প্রস্তাব দেন।

জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ ধরনের ফেলোশিপ দেওয়ার ক্ষেত্রে নীতিগতভাবে তার সম্মতি দেন। এ ছাড়া ব্রিটিশ পার্লামেন্টের কোকেসাসের সাথে এএমআর বিষয়ে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের অংশীদারত্বের একটি প্রস্তাবও দেন অধ্যাপক টিমোথি ই ওয়ালশ। এই প্রস্তাবটির বিষয়েও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতিবাচক বিবেচনার কথা জানান।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া ও প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক প্রফেসর ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ।

Link copied!