ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একসাথে পাঁচ সন্তান প্রসব করলেন এক নারী। ভূমিষ্ঠ হওয়া পাঁচ নবজাতকের মধ্যে একজন মারা গেছে। বাকি চারজনকে হাসপাতালের পুরোনো ভবনের দ্বিতীয় তলায় এনআইসিইউতে রাখা হয়েছে।গাইনি ওয়ার্ডের ডিউটিরত চিকিৎসক ডা. মাশরিমা মোর্শেদ মিশি জানান, ওই নারী সকালে গাইনি ওয়ার্ডের ৬ নম্বর ইউনিটের প্রধান অধ্যাপক ডা. সুলতানা আফরোজ শিলার তত্ত্বাবধানে ভর্তি হন।
আজ বৃহস্পতিবার সকালের দিকে নরমাল অবস্থায় একে একে পাঁচটি সন্তান জন্ম দেন ওই নারী। পাঁচ সন্তান জন্ম দেওয়া মা সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন বলে জানা গেছে।
মাশরিমা মোর্শেদ আরও জানান, ওই নারী বাচ্চার হাত বের হওয়া অবস্থায় নরসিংদী থেকে আজকে সকালেই গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি হন। পরে নরমাল অবস্থায় একে একে পাঁচটি সন্তান প্রসব করেন। নবজাতকদের ওজন খুবই কম ছিল। দ্রুত তাদের হাসপাতালের এনআইসিইউতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন এক মেয়ে নবজাতক মারা যায়। বাকি চারজনের অবস্থাও ক্রিটিক্যাল। তবে মায়ের অবস্থা ভালো আছে।
নবজাতকদের মা গৃহিণী মনসুরা আক্তার জানান, তাঁদের বাড়ি নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার বান্ধারিয়া গ্রামে। আড়াই বছর আগে সিএনজি অটোচালক মামুনের সাথে তাঁর বিয়ে হয়।তিনি আরও জানান, এটি তাঁদের প্রথম বাচ্চা। সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন তিনি।
গতকাল নিয়মিত চেকআপের জন্য শিবপুরের একটি ক্লিনিকে যান। সেখান থেকে বলা হয়, তাঁর গর্ভে পাঁচটি সন্তান রয়েছে। তাঁদের ঢাকায় এসে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলেন। সে জন্য আজ বৃহস্পতিবার সকালে তাঁরা ঢাকায় আসার জন্য পরিকল্পনা করে রাখেন। ভোরে মনসুরার প্রচণ্ড ব্যথা শুরু হলে দ্রুত তাঁকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়।
তাঁর স্বামী মামুন জানান, সকাল ৮টার দিকে ঢাকা মেডিকেলে পৌঁছানোর পর চিকিৎসকেরা পাঁচ নবজাতকের নরমাল ডেলিভারি করেন। তবে পাঁচ নবজাতকেরই ওজন খুবই কম। তাদের এনআইসিইউতে রেখেছেন চিকিৎসকেরা। তবে সন্তানদের মায়ের অবস্থা ভালো আছে।