বেটা
ফাইল ছবি
বাংলাদেশে আবারও করোনা সংক্রমণের নতুন ঢেউ দেখা দিয়েছে। শনিবার (৮ জুন) সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে আরও তিনজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (ডিজিএইচএস) সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, এ নিয়ে দেশে মোট করোনা শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০,২১,৭৪২ জনে।
একই সময়ে করোনায় নতুন করে কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি, ফলে মোট মৃত্যুর সংখ্যা আগের মতোই ২৯,৫০০ জনে অপরিবর্তিত রয়েছে।
তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, পরীক্ষার সংখ্যা খুবই সীমিত হলেও দৈনিক নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার আশঙ্কাজনকভাবে ৭৫ শতাংশে পৌঁছেছে। এই সময়ের মধ্যে মাত্র চারটি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
কম নমুনা পরীক্ষার পরেও এত বেশি শনাক্তের হার জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে।
তারা দ্রুত পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন, বিশেষ করে সম্প্রতি ঈদুল আজহার কারণে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ব্যাপক জনস্রোত ও চলাচলের পর।
এই পরিস্থিতিতে রেল মন্ত্রণালয় ঈদের ছুটি শেষে ঘরমুখো মানুষদের মাস্ক পরার আহ্বান জানিয়েছে, বিশেষ করে ট্রেন, বাস ও টার্মিনালের মতো ভিড়পূর্ণ স্থানে।
মন্ত্রণালয় ব্যক্তিগত সচেতনতার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেছে, ফেরার পথে সবাইকে বাড়তি সতর্ক থাকতে হবে যাতে সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়ে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরও নাগরিকদের নিয়মিত হাত ধোয়া, মাস্ক পরা এবং যেখানে সম্ভব ভিড় এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে।
এখনো বড় ধরনের কোনও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়নি, তবে সরকার পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
এদিকে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, বর্তমানে করোনার পাশাপাশি ডেঙ্গু সংক্রমণও বাড়ছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য বাড়তি ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, কেউ করোনার মতো উপসর্গ অনুভব করলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, গত কয়েক মাসের গা-ছাড়া মনোভাব ও খুব সীমিত সংখ্যক পরীক্ষার কারণে প্রকৃত সংক্রমণের চিত্র ধরা পড়ছে না, যা পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলতে পারে।
আগামী দিনে করোনা পরিস্থিতি প্রকৃতভাবে মূল্যায়ন করতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নজরদারি ও পরীক্ষার পরিমাণ বাড়ানোর উদ্যোগ নেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
