করোনা মোকাবিলায় অন্যান্য দেশ বাংলাদেশ থেকে শিক্ষা নিতে পারে

নিজস্ব প্রতিবেদক

এপ্রিল ২৮, ২০২২, ০৩:০৪ এএম

করোনা মোকাবিলায় অন্যান্য দেশ বাংলাদেশ থেকে শিক্ষা নিতে পারে

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় বাংলাদেশ খুব ভাল করেছে এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশ এখান থেকে শিক্ষা নিতে পারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রোগনিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংস্থার (সিডিসি) গবেষণা প্রতিবেদনে বাংলাদেশ সম্পর্কে এ মূল্যায়ন করা হয়।

তবে বাংলাদেশে করোনায় মৃত্যু এবং শনাক্তের হার অনেকখানি কমে গেলেও আত্মতুষ্টির কোনো সুযোগ নেই বলে সতর্ক করেছে সংস্থাটি। পাশপাশি বাংলাদেশ জনস্বাস্থ্য কার্যক্রমকে দীর্ঘমেয়াদে শক্তিশালী করতে স্বাস্থ্যকর্মীদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাড়াতে এবং দক্ষতা বৃদ্ধির সুপারিশও করেছে সিডিসি।

বুধবার রাজধানীর গুলশানে আমেরিকান সেন্টারে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে সিডিসি বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. নিলি কায়ডোস ড্যানিয়েলস এসব কথা বলেন।  

বাংলাদেশে টিকাদানের হার যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে বেশি-এটা খুবই ভাল খবর উল্লেখ করে ডা. নিলি কায়ডোস ড্যানিয়েলস বলেন, “মহামারি মোকাবিলায় বাংলাদেশ খুব ভাল করেছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশ এখান থেকে শিক্ষা নিতে পারে।”

সিডিসি বাংলাদেশের এই কান্ট্রি ডিরেক্টর বলেন, “বাংলাদেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা এন পর্যন্ত ২৯ হাজার ১২৭ জন এবং বুধবার (২৭ এপ্রিল) করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্তের হার ০ দশমিক ৪৭ শতাংশ।”

ডা. নিলি আরও বলেন, “এর আগে এ বছরের শুরুর দিকে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন অমিক্রনের ঢেউ শুরু হলে তখনও বাংলাদেশে হাসপাতালে ভর্তি এবং মৃত্যুর হার যথেষ্ট কম ছিল।”

যুক্তরাষ্ট্র সরকার বাংলাদেশের এই সাফল্যের গর্বিত অংশীদার উল্লেখ করে  সিডিসি’র এই কান্ট্রি ডিরেক্টর বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র সরকার বাংলাদেশকে ৬১ মিলিয়ন ডোজ করোনার টিকা সরবরাহ করেছে। পাশাপাশি সিডিসি করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ, ল্যাবরেটরি সিস্টেম, দক্ষতা বৃদ্ধি এবং জরুরি ব্যবস্থাপনা ও সাড়া দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সহায়তা করেছে।”

মহামারি চলাকালে জনস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে যে উন্নতি হয়েছে তা কাজে লাগাতে হবে পরামর্শ দিয়ে সিডিসির এই কর্মকর্তা বলেন, 'করোনা এবং সংক্রামক রোগের বিস্তার রোধে বাংলাদেশের সক্ষমতা জোরদার করতে হবে।নতুন কেউ বিচ্ছিন্নভাবে আক্রান্ত হওয়ার মাধ্যমে পরবর্তী মহামারি শুরু হয়ে যেতে পারে।'

বাংলাদেশ এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশে ওষুধ প্রতিরোধী জীবাণুর বিষয়ে সতর্ক করে এটিকে আগামীর ধীর মহামারির বিকাশ বলে অভিহিত করেন সিডিসি’র এই কর্মকর্তা।

এসময় তিনি বাংলাদেশকে কার্যকরভাবে অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করার পরামর্শ দেন এবং বলেন, “ইউএস সিডিসি বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম বাড়াবে।'

Link copied!