ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর হামলায় ৫০ জন রুশ সৈন্য নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছেন ইউক্রেন। রাশিয়ার ৬টি যুদ্ধ বিমান ভূপাতিত করারও দাবি করেছে কিয়েভ। যদিও মস্কো ইউক্রেনের এ দাবিকে অস্বীকার করেছে। রুশ বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত ৮ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে রাশিয়া।
রুশ হামলায় পর পড়ে থাকা মরদেহ
যুদ্ধের মধ্যে আইরিশসহ বেশ কয়েকটি দেশ ইউক্রেনের ভেতর দিয়ে বিমানের ফ্লাইট চলাচল বাতিল করেছে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, মূলত নিজেদের নিরাপত্তা হুমকির মুখে টের পেয়েই ইউক্রেনে হামলা শুরু করেছে রুশ বাহিনী। পুতিন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, কোন পশ্চিমা শক্তি ইউক্রেন ইস্যুতে নাক গলালে কঠোর জবাব দেওয়া হবে। রুশ সৈন্যরা প্রতিবেশী বেলারুশ দিয়ে রাজধানী কিয়েভের উত্তর দিক দিয়ে ইউক্রেনে ঢুকে পড়েছে বলে দাবি মস্কোর। রুশ হামলার কারণে কিয়েভ থেকে দলে দলে লোক আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে যেতে শুরু করেছে।
হামলার পরই প্রতি ব্যারাল তেলের দাম ১শ মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। গত ৭ বছরের মধ্যে এটাই সর্বোচ্চ মূল্য বৃদ্ধি। মার্কিন ডলারের বিপরিতে রাশিয়ার মুদ্রা রুবলের মান কমেছে।
জাভা সাগর অভিমুখী সব ধরণের বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে রাশিয়া। রুশ বিমান হামলার আতঙ্কিত ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেন্সকি ইউক্রেনে সামরিক আইন জারি করেছেন। অন্যায্য হামলার জন্য রাশিয়াকে চরম মূল্য দিতে হবে বলে জানিয়েছেন বাইডেন। আক্রমন বন্ধ করতে পুতিনের প্রতি আহবান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব এন্তোনিও গুতারেসও। ইউক্রেনের রুশপন্থীরা রুশ বাহিনীর সাহায্য চাওয়ার পরই সংকট ঘনিভূত হয়েছে।
সম্প্রতি জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদন উল্লেখ করা হয়, ওই এলাকার বেসামরিক নাগরিকদের উপর ইউক্রেনের সেনাবাহিনী ও রুশপন্থীদের নির্যাতন সীমা ছাড়িয়ে গেছে। ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া রাশিয়ার অধিকারে চলে আসার পর থেকেই ইউক্রেনের কয়েকটি শহরের রুশপন্থীরা রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হতে ইউক্রেনের সরকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। এই সময়ের মধ্যে ১৪ হাজারেরও বেশি নাগরিক নিহত হয়েছেন।