মে ১০, ২০২৩, ১০:০৭ পিএম
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিরোধী দল তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানের গ্রেফতারের প্রতিবাদে আন্দোলন-বিক্ষোভ অগ্নিগর্ভ গোটা পাকিস্তান। বুধবার আদালত ইমরান খানকে আটদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করায় এই বিক্ষোভ-আন্দোলন সহিংস রূপ নিয়েছে।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে দফায় দফায় বিক্ষোভ ও সংঘর্ষ চলছে। পুলিশের সাথে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮ জনে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে, বিবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, বিক্ষোভ দমনে বুধবারও সারা দেশে পিটিআই নেতাকর্মীদের ‘গ্রেফতার অভিযান’ অব্যাহত রেখেছে দেশটির আইনশৃ্ঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পিটিআই’র মহাসচিব আসাদ ওমরসহ এখন পর্যন্ত ১ হাজার নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। গ্রেফতারের তালিকায় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মাহমুদ কোরেশিও রয়েছেন।
রয়টার্স জানিয়েছে, বিক্ষোভ দমনে পাঞ্জাব প্রদেশে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। বেলুচিস্তান ও খাইবার পাখতুনখোয়াতেও সেনা মোতায়েনের কথা ভাবা হচ্ছে। এদিকে বিক্ষোভকারীদের প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে সেনাবাহিনী। বুধবার (১০ মে) সেনাবাহিনীর আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে এ হুঁশিয়ারি দেয়। বিবৃতিতে এ সহিংসতাকে 'কালো অধ্যায়' বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
বুধবার ইমরান খানকে আদালতে হাজির করে পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো (এনএবি) ১৪ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করলে শুনানি শেষে অ্যাকাউন্টেবিলিটি আদালত আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে,মঙ্গলবার ইমরান খানকে গ্রেফতার করা হয়। ওইদিন রাজধানী ইসলামাবাদে হাইকোর্টে একটি মামলায় হাজিরা দিতে গেলে আদালত চত্ত্বর থেকে দেশটির দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি ব্যুরো (এনএবি) তেহরিক ই ইনসাফ পার্টির চেয়ারমানকে গ্রেফতার করে।