প্যালেস্টাইনে ইসরাইলের দখলকৃত পশ্চিমতীরের অ্যারাউব শরনার্থী ক্যাম্পে ইসরাইলী সেনাদের গুলিতে গুফরান হামেদ ওয়ারাসনা নামের ৩১ বছরের এক নারী নিহত হয়েছেন। প্যালেস্টাইনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে- ওই নারীর বুকে গুলি করা হয়েছে।
এক বিবৃতিতে ইসরাইলের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ওই নারী একটি ধারালো ছুরি নিয়ে দায়িত্বরত একজন ইসরাইলী সৈন্যর দিকে তেড়ে গেলে আত্মরক্ষায় তাকে গুলি করা হয়। যদিও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ওয়ারাসনার হাতের ছুরিটি একেবারেই ছোট ছিলো এবং হুমকির কারণ হতে পারে-এমন কোন কিছু তিনি করেননি। বেথেলহেম এবং হেব্ররনের মাঝামাঝি অবস্থিত একটি ইসরাইলী সেনা ক্যাম্পের কাছে ওয়ারাসনাকে গুলি করা হয়। প্যালেস্টাইনের রেড ক্রিসেন্ট অভিযোগ করেছে, ওয়ারাসনাকে গুলি করা হয়েছে-এমন খবর পেয়ে রেডক্রিসেন্টের যে চিকিৎসক দল তাকে চিকিৎসা দিতে যাচ্ছিলো, ওই দলকে কোন কারণ ছাড়াই ২০ মিনিট আটকে রাখে ইসরাইলী সৈন্যরা। চিকিৎসকরা জানিয়েছে, গুলিটি ওয়ারাসনার ঠিক হার্টে গিয়ে লেগেছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, তিনদিন আগেই একটি রেডিও স্টেশনে নতুন চাকরি শুরু করেছিলেন ওয়ারাসনা। বাসা থেকে অফিস যাওয়ার পথেই এ গুলির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো।
গত জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ইসরাইলী সেনাদের গুলিতে ৫৯ জন ফিলিস্তিনী নাগরিক নিহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনী নাগরিকদের হামলায় ইসরাইলের ১৯ জন নিহত হয়েছেন। গত রমযান মাস থেকে পশ্চিম জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে থেকে থেকেই ইসরাইলী বাহিনীর সঙ্গে ফিলিস্তিনীদের সংঘর্ষ চলছে। প্রায় প্রতি জুম্মার নামাযের পরই সেখানে সংঘর্ষ হচ্ছে।