জম্মু-কাশ্মীরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার (এলওসি) কাছে ল্যান্ড মাইন বিস্ফোরণে লেফটেন্যান্ট ঋষি কুমার এবং সিপাহি মনজিৎ সিং নামে ২ সেনা জওয়ান নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া একজন জুনিয়র কমিশনড অফিসার (জেসিও) চিকিৎসাধীন আছেন।
শনিবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ওই সেনা জওয়ানরা রাজৌরি জেলার নৌশেরা সেক্টরের কালাল এলাকায় শক্তিশালী ল্যান্ড মাইন বিস্ফোরণের কবলে পড়েন। পরবর্তীতে চিকিৎসা চলাকালীন ২ জওয়ান মারা যান। নিহত ঋষি কুমারের বাড়ি বিহারের বেগুসরাইতে। মনজিৎ সিংয়ের বাড়ি পাঞ্জাবের ভাতিন্ডাতে।
প্রতিরক্ষা মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল দেবেন্দর আনন্দ বলেন, ‘জাতি এবং ভারতীয় সেনাবাহিনী চিরকাল তাদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের জন্য সাহসী হৃদয়ের কাছে ঋণী থাকবে।’
কর্মকর্তা সূত্রে প্রকাশ, সেনাবাহিনীর একটি দল কালালের নিয়ন্ত্রণরেখার একটি অগ্রবর্তী এলাকায় রুটিন ডিউটিতে থাকার সময়ে একটি শক্তিশালী বিস্ফোরণ এলাকাটি কেঁপে ওঠে। কয়েক কিলোমিটার দূরেও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।গণমাধ্যম সূত্রে প্রকাশ, ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ‘এলওসি’তে সন্ত্রাসীদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে কী ওই ল্যান্ডমাইন বিছানো হয়েছিল না কি কোনও সন্ত্রাসী সংগঠন সেনাবাহিনীর টহলদারি বাহিনীকে লক্ষ্যবস্তু করেছে তা এখনও স্পষ্ট হয়নি।
অন্যদিকে, পুঞ্চে গত ১১ অক্টোবর থেকে গেরিলা ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। ১১ অক্টোবর প্রথমদিনের সংঘর্ষে এক কর্মকর্তাসহ ৫ সেনা জওয়ান নিহত হন। ১৪ অক্টোবর ফের ২ সেনা জওয়ানের মৃত্যু হয়। গত ১৬ অক্টোবর সংশ্লিষ্ট এলাকা থেকে এক কর্মকর্তাসহ দু’জন সেনা সদস্যের লাশ উদ্ধার হয়। এছাড়া ২০ অক্টোবর শোপিয়ানে নিরাপত্তা বাহিনী ও গেরিলাদের মধ্যে সংঘর্ষে ১ সেনা জওয়ানের মৃত্যু হয়।
এরফলে নিহত সেনা জওয়ানের সংখ্যা বেড়ে ১০ জনে পৌঁছয়। এবার ল্যান্ড মাইন বিস্ফোরণে ফের কর্মকর্তাসহ ২ সেনা জওয়ানের মৃত্যু হওয়ায় হল। এরফলে জম্মু-কাশ্মীরে বিভিন্ন ঘটনায় গত তিন সপ্তাহের মধ্যে ১২ জওয়ানের মৃত্যু হল।