বেটা
চলতি বছরের মধ্যেই মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরাক থেকে নিজেদের সব সেনা প্রত্যাহার করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মার্কিন সেনারা ইরাকের মাটিতে পা রাখার ১৮ বছর পর আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযান গুটিয়ে নেবে যুক্তরাষ্ট্র।
সোমবার (২৬ জুলাই) যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মুস্তাফা আল-কাধিমির মধ্যে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে চুক্তি সই হয়েছে।
ইরাক ও আফগিানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযান শুরু হয় সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের শাসনামলে। প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পরই জো বাইডেন প্রথমে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের উদ্যোগ গ্রহণ করেন।এরই ধারাবাহিকতায় আসছে আগস্ট মাসের শেষের দিকে মার্কিন সেনাদের আফগানিস্তান ভূখণ্ড ছাড়ার কথা রয়েছে।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়, সোমবার (২৬ জুলাই) মার্কিন প্রেসিডেন্টের ওভাল অফিসে প্রথমবারের মতো ইরাকের প্রধানমন্ত্রী কাধিমির সঙ্গে বৈঠকে বসেন জো বাইডেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক করেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মুস্তাফা আল-কাধিমি। ছবি: সংগৃহীত
বৈঠক শেষে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ইসলামিক স্টেটকে (আইএস) প্রতিরোধ করাসহ ইরাকে আমাদের সহায়তা, প্রশিক্ষণ অব্যাহত থাকবে, তবে এ বছরের শেষ নাগাদ সেখানকার যুদ্ধে আমরা আর থাকছি না।’
বর্তমানে ইরাকে অবস্থান করা আড়াই হাজার মার্কিন সেনা মূলত ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে অভিযানেই ব্যস্ত। এখন লড়াই বাদ দিয়ে শুধুমাত্র ইরাকি বাহিনীর প্রশিক্ষণ এবং তাদের সুরক্ষা বিষয়ক পরামর্শ দেওয়ার কাজে যুক্তরাষ্ট্র মনোযোগী হবে । যুক্তরাষ্ট্র অবশ্য এই কাজটি অনেক আগে থেকেই করে আসছে।
ইরাকের ওই সময়কার প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের সরকার ব্যাপক ধ্বংসাত্মক অস্ত্রের মজুদ গড়ে তুলেছে-এই অভিযোগ তুলে ২০০৩ সালে দেশটিতে অভিযান শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন যৌথবাহিনী। তবে ওই যুদ্ধে ইরাকের প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করা গেলেও ধ্বংসাত্মক অস্ত্রের অস্ত্রের হদিস আজ পর্যন্ত মেলেনি।
-20241027115010.png)
-20241102183141.jpg)
