ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৩, ০৮:৫১ এএম
তুরস্ক ও সিরিয়ায় শক্তিশালী ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে তছনছ হয়ে গেছে দেশ দুটির বিভিন্ন প্রদেশ। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তুরস্ক। দেশটির মৃত্যুর সংখ্যা ৩০ হাজারের কাছাকাছি। ৬০ হাজারের বেশি ভবন বিধ্বস্ত হয়েছে। দেশটিতে পুরোদমে চলছে উদ্ধার তৎপরতা।এই উদ্ধার অভিযানে ঘটছে একের পর এক এক অলৌকিক ঘটনা।
দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের হাতায় শহরের ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে এক কিশোরীকে ১৪৭ ঘণ্টা পর জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
১২ বছর বয়সী ওই কিশোরীর নাম কুডি।উদ্ধারের পর কুডিকে উদ্ধারকারীরা বলেন, ‘তুমি একটা অলৌকিক বিষয়।’ এর আগে একই শহরের অরেকটি জায়গায় ধ্বংসস্তূপে ১৩৯ ঘণ্টা আটকে থাকার পর সাত মাস বয়সী এক শিশুকে জীবিত উদ্ধার করেছে উদ্ধার করা হয়। তার আগে হাতায় শহর থেকে ১২৮ ঘণ্টা পর দুই মাসের এক শিশুকে জীবন্ত উদ্ধার করা হয়েছে। তারও আগে ১২২ ঘণ্টা পর দুই বছরের এক শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছিল।
অন্যদিকে দেশটির গাজিআনতেপের আরেকটি ধসে যাওয়া ভবনের নিচ থেকে এসমা সুলতান নামে ১৩ বছর বয়সী এক শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। খবর আলজাজিরার।
কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, তুরস্ক ও সিরিয়ায় গত সোমবার ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এরপর আরও কয়েকটি ভূমিকম্প অনুভূত হয় দেশ দুটিতে।
তুরস্ক ও সিরিয়ার সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, ওই দুই দেশে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৩৩ হাজার ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে তুরস্কে প্রায় ৩০ হাজার জন।