এপ্রিল ৮, ২০২৩, ১২:১৩ এএম
নাইজেরিয়ায় আবারও বন্দুকধারীদের ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটলো। দেশটিতে প্রায়শঃ এরকম হামলার ঘটনা ঘটে। এবারকার হামলায় অন্তত ৪৬ জন নিহত হয়েছে। বুধবার দেশটির মধ্য-উত্তরাঞ্চলের একটি গ্রামে বন্দুকধারীরা হামলা চালালে ওই ৪৬ জন নিহত হয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
নাইজেরিয়ার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বেনু রাজ্যের উমোগিডিতে ওই হামলা এবং প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এ অঞ্চলে যাযাবর পশুপালক এবং স্থানীয় গ্রামবাসীদের মধ্যে সংঘর্ষ প্রায় নিয়মিত একটি বিষয়।
বেনু রাজ্যের গভর্নরের উপদেষ্টা পল হেম্বা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ৪৬ জনের মরদেহ পাওয়া গেছে এবং উদ্ধার করা হয়েছে। অনেক লোক এখনও নিখোঁজ রয়েছে। নিহতদের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।
পল হেম্বা হামলার জন্য যাযাবর পশুপালকদের দায়ী করেন হেম্বা। তিনি বলেন, ঘটনাস্থলের আশপাশের এলাকায় সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন কিছু শান্ত রয়েছে। বিগত কয়েক মাস ধরেই পশুপালকরা গ্রামবাসীদের ওপর আক্রমণ চালিয়ে আসছে।
এত বিপুলসংখ্যক প্রাণহানির কারণ এখনো জানা যায়নি। তবে বেনু রাজ্যটি নাইজেরিয়ার সংঘর্ষপ্রবণ এলাকার একটি। সেখানে প্রায় নিয়মিতই স্থানীয় কৃষক এবং ফুলানি গোত্রের পশুপালকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এসব সংঘর্ষে সাধারণত গ্রামবাসীরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ফুলানি গোত্রকে দোষারোপ করায় খেপেছেন ফুলানি পশুপালকদের জোট মিয়েত্তিয়াল্লাহ ক্যাটল ব্রিডারস অ্যাসোসিয়েশন অব নাইজেরিয়ার চেয়ারম্যান বাবা উসমান জেলজারমা। তিনি তদন্ত ছাড়াই ঢালাওভাবে ফুলানি গোত্রকে দোষারোপ না করার বিষয়ে সতর্ক করে বলেন, ফুলানি পশুপালকদের দানবরুপে চিহ্নিত করার ঘৃণ্য প্রচেষ্টা বেনুতেই শুরু হয়েছিল। এখন তা নাইজেরিয়াজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে।
বাবা উসমান জেলজারমা আরও বলেন, আমরা ফুলানি পশুপালকদের কিছু আক্রমণে জড়িত থাকার অভিযোগ থেকে দায়মুক্তি দিচ্ছি না। তবে প্রতিটি আক্রমণের জন্য তাদের সবসময় যেভাবে দোষারোপ করা হয় তা অন্যায্য এবং পক্ষপাতমূলক।
বাবা উসমান তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করার আহ্বান জানান।
এএফপি