নাইজেরিয়ায় বন্দুকধারীদের গুলিতে অন্তত ৪৩ জন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় সোমবার (১৮ অক্টোবর) দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় সোকোটো রাজ্যে এ নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটে। রাজ্যটির গভর্নরের দপ্তর তেখে দেওয়া এক বিবৃতির বরাত দিয়ে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি’র খবরে এ তথ্য জানা গেছে।
বিবৃতিতে সেকোটো রাজ্যের গভর্নর আমিনু ওয়াজিরি টামবুওয়াল জানান, রাজ্যের গোরোনিও এলাকার একটি সাপ্তাহিক হাটে রবিবার হামলা শুরু করে সোমবার সকাল পর্যন্ত তাণ্ডব চালায় হামলাকারীরা। তবে কারা এই হামলা চালিয়েছে সে ব্যাপারে নাইজেরিয়া সরকার এখনও কিছু জানায়নি।
স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী ইলিয়াসু আব্বা বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে জানান, ‘ক্রেতা ও বিক্রেতায় হাট যখন সরগরম তখনই বন্দুকধারীরা এসে তাণ্ডব শুরু করে। গোরোনিও জেনারেল হাসপাতালের মরচুয়ারিতে ৬০টি লাশ ছিলঅ আর অন্যরা পালানোর সময় আহত হলেও বেঁচে গেছে বলেও তিনি জানান।
ওই ব্যবসায়ী আরও বলেন, ‘হামলাকারীরা চারদিক থেকে ঘিরে ধরে হাটে থাকা লোকজনকে লক্ষ্য করে নির্বিচার গুলি শুরু করে। হাটের নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও হামলাকারীরা সংখ্যায় অনেক বেশি হওয়ায় তারা আর পেরে ওঠেনি।’
প্রসঙ্গত, বেশ কয়েক বছর ধরে নাইজেরিয়ার উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে বন্দুকধারীদের হামলায় বহু লোক নিহত হয়েছেন। পাশপাশি মুক্তিপণের জন্য কয়েক শ লোককে অপহরণ করেছে। নাইজেরিয়ার সরকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ওই অঞ্চলের টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ করে দিয়ে সামরিক অভিযান শুরু করে। পাশপাশি জোরদার করা হয় পুলিশের তৎপরতা।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের প্রথমদিকে পুরো জামফারা রাজ্যে সব ধরনের টেলিফোন ও ইন্টারনেট সার্ভিস বন্ধ করে রাখার নির্দেশ দেয় সরকার। এরপর কাটসিনা, সোকোটো ও কাদুনা রাজ্যে সামরিক অভিযান জোরদার হলে রাজ্যগুলোর কয়েকটি অংশেও একই নির্দেশনা জারি করে সরকার। ফলে ওইসব অঞ্চলের খবরাখবর জানা কঠিন হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে, টেলিযোগাযোগ বন্ধ থাকায় দৈনন্দিন জীবন ও ব্যবসা-বাণিজ্যে বিঘ্ন ঘটছে।