আতশবাজির বর্ণিল উৎসবের মধ্য দিয়ে ২০২২ সালকে বরণ করে নিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। সবার আগে স্বাগত জানায় দ্বীপরাষ্ট্র সামোয়া, নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে পশ্চিমা অনেক দেশে চলে জাঁকজমকপূর্ণ প্রস্তুতি। তবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওযায় বিধিনিষেধের মেনে অনেকটা সীমিত পরিসরে উদযাপন করেছে অনেক দেশ।
ভৌগোলিক কারণে বরাবরের মতো খিস্ট্রীয় নতুন বছরকে প্রথম স্বাগত জাানায় প্রশান্ত মহাসাগারের ছোট্ট দ্বীপরাষ্ট্র সামোয়া ও নিউজিল্যান্ড। নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডে আলোর ঝরণাধারায় নির্মিত স্কাই টাওয়ারে বর্ণিল আতশবাজির মধ্য দিয়ে বরণ করে নেয়া হয় নতুন বছরকে। ঘড়ির কাটায় সেখানে রাত ১২টা বাজার সঙ্গে সঙ্গেই হাজারো মানুষ। উৎসবে মেতে ওঠে।
এরপরই অস্ট্রেলিয়ায় শুরু হয় বর্ষবরণ । রঙ বেরঙের আতশবাজির ঝলকানিতে অস্ট্রেলিয়ান জনগণ নতুন বছরকে স্বাগত জানায়। করোনা অতিমারির কারণে দেশটিতে কিছুটা সীমিত করা হয় আয়োজন।
এদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নববর্ষকে ঘিরে ছিল চোখ ধাঁধানো সব আয়োজন। নিউইয়র্কের টাইমস স্কয়ার সাজানো হয় বর্ণিল আলোকসজ্জায়। বিশেষ করে ক্রিস্টাল বলে নতুন বছরের ক্ষণ গণনা করতে অপেক্ষায় ছিল হাজারো মানুষ। নিউইয়র্ক ছাড়াও দেশটির বিভিন্ন শহরে জমকালো আয়োজনে নুতন বছরকে বরণ করে নেয় যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ।
নতুন বছরকে বরণ করে নিতে ইউরোপের বিভিন্ন দেশও আয়োজন করে জাকজমক অনুষ্ঠানের। বিভিন্ন দেশ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উপেক্ষা করেই বর্ষবরণে মেতেছে সবাই। এছাড়া, নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে বড় ধরনের আয়োজন করে এশিয়ার চীন, জাপান,দক্ষিণ কোরিয়াসহ বিভিন্ন দেশ।
করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন আতঙ্কের সঙ্গে অনেকটা সমঝোতা করেই নতুন বছর উদযাপনের আনন্দে গা ভাসিয়েছে বিশ্ববাসী। তবে সবার প্রত্যাশা একটাই, নতুন বছরে সুখ-সমৃদ্ধি আর আনন্দে ভরে উঠবে পৃথিবী, আর পরাজিত হোক করোনা দানব।