ভারতের উত্তর প্রদেশে সাত ধাপের বিধানসভা নির্বাচন শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার। রাজ্য বিধানসভার ৪০৩ আসন দখলের জন্য হাজারো প্রতিযোগী এ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। আয়তনে ভারতের সবচেয়ে বড় এ রাজ্যটির জনসংখ্যা প্রায় ২৪ কোটি।
১৯৯০ এর দশকের শেষ দিক থেকে রাজ্যের রাজনীতিতে আঞ্চলিক সমাজবাদী পার্টি ও বহুজন সমাজ পার্টির (বিএসপি) আধিপত্য দেখা গেছে। দল দুটি পর্যায়ক্রমে ক্ষমতায় আসীন হয়েছে। আর কোণঠাসা হয়ে পড়েছে কংগ্রেস ও বিজেপি।
তবে প্রধানমন্ত্রী মোদীর জনপ্রিয়তা ও ক্যারিশমার বদৌলতে ২০১৭ সালে রাজ্যের ৪০৩ আসনের বিধানসভায় দলটি ৩১২ আসন পায় এবং প্রায় ৪০ শতাংশ পপুলার ভোট পেয়ে জয়লাভ করে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বিজেপি বেছে নেয় যোগী আদিত্যনাথকে। হিন্দু সন্ন্যাসী থেকে রাজনীতিবিদ হওয়া আদিত্যনাথ তার বিভক্তিমূলক দৃষ্টিভঙ্গির জন্য পরিচিত। বিজেপি’র এই কট্টর রাজনীতিবিদ আবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আশা করছেন।
উত্তর প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে আদিত্যনাথের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হচ্ছে, ৪৮ বছর বয়সী অখিলেশ যাদবের নেতৃত্বাধীন সমাজবাদী পার্টি। অখিলেশ রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী। ২০১৭ সালে বিজেপি’র কাছে পরাজিত হয়ে ক্ষমতা থেকে বিদায় নিয়েছিলেন তিনি। সাত ধাপে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে ভোট হবে। নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনীর হাজারো সদস্য মোতায়েন করা হয়।
কিন্তু রাজনৈতিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার পরও উত্তর প্রদেশ ভারতের স্বল্পোন্নত রাজ্যগুলোর অন্যতম হয়ে আছে। দেশটির সবচেয়ে বেশিসংখ্যক গরিব মানুষ এ রাজ্যে বাস করে।
৭ ধাপের বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম ধাপে ৫৮ আসনে নির্বাচন হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে ১৪ ফেব্রুয়ারী ৫৫ আসনে, ২০ ফেব্রুয়ারী ৫৯ আসনে, ২৩ ফেব্রুয়ারী ৫৯ আসনে, ২৭ ফেব্রুয়ারি ৬১ আসনে,৩ মার্চ ৫৭ আসনে, ৭ মার্চ ৫৪ আসনে নির্বাচন হবে। উত্তর প্রদেশ রাজ্যে ভোট গণনা হবে ১০ মার্চ। ১ লাখ ৭৪ হাজার ৩৫১টি কেন্দ্রে ভোট দেবেন ১৫ কোটিরও বেশি ভোটার।