মার্কিন প্রশাসনকে ‘না’ বলেছিল আমিরাতের শাসক

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

মার্চ ২৩, ২০২২, ১২:৩৯ পিএম

মার্কিন প্রশাসনকে ‘না’ বলেছিল আমিরাতের শাসক

মার্কিন প্রশাসনকে ‘না’ বলে দিয়েছিল মধ্যপ্রাচ্যের দেশ আমিরাত। মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ডের শীর্ষ কর্মকর্তা জেনারেল ফ্রাঙ্ক ম্যাকেঞ্জি সাক্ষাৎ করতে চেয়েছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের শাসক শেখ জায়েদ আল-নাহিয়ানের সাথে। কিন্তু সাক্ষাৎ করতে অস্বীকার করেছিলেন শেখ নাহিয়ান।

আরব আমিরাতের নিরাপত্তা রক্ষার প্রতিশ্রুতির প্রশ্নে আবুধাবি এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে অনাস্থা বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে জায়েদ আল-নাহিয়ান জেনারেল ম্যাকেঞ্জির সাথে সাক্ষাৎ করতে অস্বীকার করেন। চলতি বছরের প্রথম দিকে ওই ঘটনা ঘটেছে। খবরটি এখন প্রকাশ হয়েছে।

এ বছরের জানুয়ারিতে ইয়েমেনের হুতি আনসারুল্লাহ আন্দোলন সমর্থিত সামরিক বাহিনী সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবি এবং বাণিজ্যিক কেন্দ্র দুবাইয়ে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের সাহায্যে ব্যাপক হামলা চালায়।

বড় ধরনের এ হামলার পরও মার্কিন কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি এবং ইয়েমেনের হুতিদেরকে পাল্টা জবাব দেয়ার কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। অথচ আমিরাত কর্তৃপক্ষ ইয়েমেনের যোদ্ধাদের হামলার পাল্টা জবাব আশা করেছিল।

হামলার তিন সপ্তাহ পর সেন্টাল কমান্ডের শীর্ষ কর্মকর্তা জেনারেল ফ্রাঙ্ক ম্যাকেঞ্জি যখন সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে যেতে চেয়েছিলেন তখন তার সঙ্গে সাক্ষাত না করার কথা জানান জায়েদ আল-নাহিয়ান।

জেনারেল ম্যাকেঞ্জি মধ্যপ্রাচ্যে মোতায়েন মার্কিন সেনাদের কমান্ডার হিসেবে নিযুক্ত রয়েছেন।

ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের পর আমেরিকার পক্ষ থেকে মস্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের সরবরাহ কমে গেলে সেই শূন্যস্থান পূরণের জন্য সৌদি আরব ও আরব আমিরাতের যুবরাজের সঙ্গে কথা বলার জন্য ফোন করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যের দুই নেতার কেউই বাইডেনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেননি।

সূত্র: ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।

Link copied!