এপ্রিল ৫, ২০২২, ০৩:১৫ পিএম
অর্থনৈতিক সংকটে জর্জরিত শ্রীলঙ্কায় খাদ্য, তেল ও বিদ্যুতের মূল্য অতিমাত্রায় বেড়ে যাওয়ায় প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভে উত্তাল শ্রীলঙ্কা। এমতাবস্থায় দেশটির ক্ষমতাসীন জোট সরকারেও ভাঙন দেখা দিয়েছে।
জাপানের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম নিক্কেই এশিয়ার খবরে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের নেতৃত্বাধীন জোট পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে।
মঙ্গলবার শ্রীলংকার পত্রিকা আদাদেরনার খবরে বলা হয়, শ্রীলংকা ফ্রিডম পার্টি (এসএলএফপি), শ্রীলংকা পদুজানা পেরামুনা (এসএলপিপি), সিলোন ওয়ার্কার্স কংগ্রেসের (সিডব্লিউসি) ৪২ জন আইনপ্রণেতা মঙ্গলবার অধিবেশনে জোট থেকে বেরিয়ে গিয়ে স্বতন্ত্র সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালনের ঘোষণা দিয়েছেন।
এদিকে, বিক্ষোভের মধ্যে মন্ত্রিসভার সদস্যদের পদত্যাগের পর প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে জাতীয় ঐক্যমত্যের সরকার গঠনের যে আহবান জানিয়েছিলেন, তাও প্রত্যাখ্যান করেছে বিরোধী দলগুলো। তারা খোদ প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করছে।
প্রসঙ্গত, অর্থনৈতিক সংকটে জর্জরিত শ্রীলঙ্কায় খাদ্য, তেল ও বিদ্যুতের মূল্য অতিমাত্রায় বেড়ে যাওয়ায় সরকারের ব্যর্থতার অভিযোগে এনে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের পদত্যাগ দাবিতে রাস্তায় নেমেছে লাখো বিক্ষোভকারী।এসব বিক্ষোভকারীদের এখন একটাই দাবি-প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া পদত্যাগ। প্রেসিডেন্ট পদত্যাগ না করা পর্যন্ত তাদের বিক্ষোভ চলবে বলে জানান রাস্তায় নেমে আসা বিক্ষুব্ধ জনগণ।
গোটা দেশজুড়ে উত্তাল বিক্ষোভে স্লোগান আর প্ল্যাকার্ডগুলো মূলত প্রেসিডেন্ট গোতাবায়ার বিপক্ষে। তাকে উদ্দেশ্য করেই বিক্ষোভকারীদের ব্যানার ও প্লাকার্ডে “চলে যাও গোটা”, “চলে যাও গোটা” লেখা দেখা যাচ্ছে। মূলত দেশের অর্থনৈতিক সংকটের পেছনে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়াকেই দায়ি করে বিক্ষোভকারীরা তার বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছেন।
১৯৪৮ সালে যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা। ৭৪ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকট পার করছে শ্রীলঙ্কা। এ বছর কলম্বোকে প্রায় ৬৯০ কোটি ডলারের ঋণ পরিশোধ করতে হবে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে টান পড়ায় বাইরের দেশ থেকে জ্বালানি তেল আমদানি করতে পারছে না শ্রীলঙ্কার সরকার।