ডাচ নাগরিক জোনাথান জ্যাকোব মাইজার। ৪১ বছর বয়সে তিনি ৫৫০ সন্তানের জনক! তার সন্তানেরা ছড়িয়ে আছে নেদারল্যান্ডসসহ নানা দেশে। পৃথক নারীর গর্ভে এসব সন্তানের জন্ম। অবাক হয়েছেন! হ্যা এমনই এক খবর বিশ্বব্যাপী বিখ্যাত সব মিডিয়ার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
কিভাবে সম্ভব হলো এটি?
আসলে জোনাথন জ্যাকোব মাইজার একজন স্পার্ম ডোনার। টাকার বিনিময়ে তিনি বিভিন্ন ক্লিনিকে স্পার্ম ডোনেট করেন। আর সেসব ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে আসা নিঃসন্তান দম্পতিরা এসব স্পার্ম এর গ্রাহক।
এবার জোনাথন জ্যাকোব মাইজার বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে ডাচ দাতব্য সংস্হা ডোনরকাইন্ড। এ প্রতিষ্ঠানটি স্পার্ম ডোনারের সাথে সন্তানদের দেখা করানোর কাজ করে থাকে।
এ প্রতিষ্ঠানের প্রধান টিয়েস ভ্যন দের মীর বলেছেন, "আমরা জোনাথন জ্যাকব মাইজার এর বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছি কারন সরকার এ ব্যাপারে কিছু করছে না।"
তিনি বলেন, ডাচ গাইডলাইন অনুযায়ী একজন স্পার্ম ডোনার সর্ব্বোচ্চ ১২ নারীকে স্পার্ম দিতে পারেন এবং ২৫ জনের বেশী সন্তানের পিতা হতে পারবেন না।
কিন্ত জোনাথন এখানে কোনও বাছবিচার করেননি এবং ডাচ সরকারের গাইডলাইন এর প্রতি সম্মান দেখাননি। তিনি বিভিন্ন দেশে মোট ১৩ ক্লিনিকে স্পার্ম ডোনেট করেছেন। এর মধ্যে ১১ টি ক্লিনিক নেদারল্যান্ডস এ অবস্থিত।
ডোনরকাইন্ড প্রধান বলেছেন, "এটা নির্বিচারে দেয়া হয়েছে এবং এতে 'দূর্ঘটনাপ্রসূত ব্যাভিচারের' সৃষ্টি করতে পারে। এর অর্থ হলো নিজ সন্তানদের মধ্যে বিবাহ ও সন্তানদানের ঘটনা ঘটতে পারে। এতে ওইসব সন্তানদের মনস্তাত্ত্বিক সমস্যাও সৃষ্টি হতে পারে।"
ডোনরকাইন্ড বর্তমানে স্পার্ম নিয়ে সন্তান জন্ম দেয়া ২৫ টি পরিবারের দেখাশুনার দায়িত্ব পালন করছে। এদের মধ্যে একজন ডাচ নারী জোনাথন জ্যাকবের বায়োলজিকাল সন্তানের মা এবং তিনি ডোনরকাইন্ড এর মাধ্যমে জোনাথনকে বিচারের আওতায় আনতে দাবী করেছেন।
নানা দেশে বিখ্যাত সব পত্রিকা, অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও বানিজ্যিক টেলিভিশন এ ব্যাপারে প্রতিবেদন করেছে।
জোনাথন বর্তমানে কেনিয়ায় বসবাস করছেন।
এসব প্রতিবেদনে জোনাথন জ্যাকবের উদ্ধৃতি ছাপা হয়, "আমি খুশী এই ভেবে যে সারাবিশ্বে আমার সন্তানেরা ছড়িয়ে আছে।"