জুন ১৩, ২০২১, ০২:৪৫ পিএম
জি৭ সামিটের নেতৃবৃন্দকে জলবায়ু ঝুঁকি নিয়ে মানব ইতিহাসের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্যার ডেভিড অ্যাটেনবারো। ৯৫ বছর বয়সী এই ব্রিটিশ পরিবেশবাদী জানান, 'পুরো পৃথিবী স্থিতিস্থাপকতা হারাতে পারে যে কোন সময়'।
'জলবায়ু পরিবর্তন' বিষয়টি এবারের জি৭ সামিটের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আলোচ্য বিষয়। জি৭-এ অংশ নেয়া যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মান, ইতালি এবং জাপান ২০১০ সালের তুলনায় ২০৩০ সালের মধ্যে তাদের কার্বন নিঃসরণ অর্ধেক কমিয়ে দেয়ার বিষয়ে একমত হয়েছে। যুক্তরাজ্য এরই মধ্যে তার প্রতিশ্রুতি অনুসারে ৫৮ শতাংশ কার্বন নিঃসরণ হ্রাস করেছে।
বিবিসির পরিবেশ বিষয় বিশ্লেষক রজার হারাবিন বলেন, দুটি বিষয়ে এখনো বিস্তারিত অনেক কিছুই জানা হয়নি। প্রস্তাবিত 'গ্রিন মাস্টারপ্ল্যান'-এ উন্নয়নশীল দেশগুলোকে 'গ্রিন টেকনোলজি' সরবরাহ করা হবে এবং ধনী দেশগুলোকে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি মোকাবেলায় দরিদ্র দেশগুলোর দিকে হাত বাড়িয়ে দিতে হবে।
স্যার ডেভিড জানান, প্রাকৃতিক পরিবেশ বর্তমানে দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ বিষয়ে কোন দ্বিমত নেই।
তিনি আরো বলেন, 'আমাদের জলবায়ু বেশ দ্রুত উষ্ণ হয়ে উঠছে। যা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্রগুলোর মধ্যেও কোন সমতা নেই, বেশ সহজেই তা যে কারো নজরে পড়বে। কিন্তু ২০২১ সালে বিজ্ঞান আমাদের যেই চিন্তা করতে বাধ্য করছে তা হলো, এই সকল কারণে আমরা কী পৃথিবীকে অস্থিতিস্থাপক করার দ্বারপ্রান্তে রয়েছি? যদি তাই হয়, তাহলে এই দশকে আমরা যেই সিদ্ধান্ত নেব, বিশেষত অর্থনৈতিকভাবে সবচাইতে এগিয়ে থাকা দেশগুলো যেই সিদ্ধান্ত নেবে, তা মানব ইতিহাসের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হবে।'
২০১৯ সালের এক প্রতিবেদন অনুসারে বিশ্বে গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমনকারী দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে চীন। দেশটি বিশ্বের মোট গ্রিনহাউজ গ্যাসের ২৭ শতাংশ নির্গমন করে। কিন্তু এই দেশটি জি৭-এর সদস্য রাষ্ট্র নয়।
সূত্র: বিবিসি।