অক্টোবর ২৯, ২০২২, ০১:৪৮ পিএম
ইউক্রেনের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে রাশিয়ার সেনাবাহিনীর হামলায় অন্তত ৪০ লাখ মানুষ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।স্থানীয় সময় শুক্রবার নিয়মিত ভাষণে তিনি এ অভিযোগ করেন বলে এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
রুশ সেনাবাহিনী ইউক্রেনের অনেক বিদ্যুৎকেন্দ্র ও অবকাঠামোতে হামলা করেছে উল্লেখ করে জেলেনস্কি আরও বলেন, “এতে লাখ লাখ মানুষ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। যেসব শহরে এখনো বিদ্যুৎ আছে, সেগুলোতে ব্ল্যাকআউট কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি ব্ল্যাকআউট কমানোর।”
রুশ বাহিনী এর আগেও ইউক্রেনের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে হামলা করেছে বলে অভিযোগ ছিল কিয়েভের। গত ২২ অক্টোবর রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আঘাত করে বলে অভিযোগ করে জেলেনস্কি সরকার। ওই হামলায় বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে ১৫ লাখ মানুষ।
রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা চালানোর সময় জেলেনস্কি বলেছিলেন, “নতুন করে বড় ধরনের হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন শতভাগ ভূপাতিত করার প্রযুক্তিগত সক্ষমতা আমাদের নেই। তবে মিত্রদের সাহায্যে ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করার সক্ষমতায় কিয়েভ আরও উন্নতি করবে।”
এদিকে, ইউক্রেনকে যুদ্ধে সহযোগিতার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের স্যাটেলাইট ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিতে পারে রাশিয়া-এমন আশঙ্কা ক্রমেই জোরদার হচ্ছে।
রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা কনস্তানতিন ভোরোনতসভ এমন ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, “যুদ্ধে পশ্চিমাদের স্যাটেলাইটগুলো যদি ইউক্রেনকে সহায়তার কাজে ব্যবহার করা হয়, তাহলে সেগুলো রাশিয়ার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হতে পারে।”
প্রসঙ্গত, ১৯৫৭ সালে রাশিয়া বিশ্বে সর্বপ্রথম মহাকাশে স্যাটেলাইট পাঠায়। এর চার বছর পর দেশটি প্রথম বারের মতো কোনো মানুষকে মহাশূন্যে পাঠায়।
মহাকাশে হামলা চালানোর বড় সক্ষমতাও রয়েছে পুতিন প্রশাসনের। ২০২১ সালে ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে নিজেদের একটি স্যাটেলাইট ধ্বংস করেছিল মস্কো। অবশ্য যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মহাকাশে হামলা চালানোর সক্ষমতা রয়েছে।