দেশে সেপ্টেম্বর মাসেও ১৫ জন সাংবাদিক পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এ পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। মানবাধিকার সংগঠন মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ) তাদের এক রিপোর্টে এ কথা বলেছে।
দেশের ১৮টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ ও এমএসএফের সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে ওই রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে।
এমএসএফের দেওয়া সেপ্টেম্বর মাসের মানবাধিকার প্রতিবেদনে এ চিত্র উঠে এসেছে। শনিবার প্রতিবেদনটি গণমাধ্যমে পাঠায় এমএসএফ। সেখানে বলা হয়, পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সাংবাদিকদের নানাভাবে হুমকি, নিপীড়ন, হয়রানি, নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন—যা স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশের সাংবিধানিক অধিকারকে খর্ব করার শামিল। সাংবাদিকদের শারীরিকভাবে আক্রমণ, হয়রানি ও হুমকি এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশে বাধা সৃষ্টি করছে।
মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে এমএসএফ বলছে, দেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি ছিল আগের মতোই উদ্বেগজনক। দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক বন্দুকযুদ্ধ, তাদের পরিচয়ে অপহরণ, নির্যাতন এবং অপতৎপরতার মতো ঘটনা ঘটেই চলেছে। রাজনৈতিক নেতা–কর্মীদের গ্রেপ্তার, গায়েবি মামলা ও পুলিশি বলপ্রয়োগের ঘটনা নিদারুণভাবে অব্যাহত রয়েছে।
ধর্ষণসহ নারী ও শিশুদের ওপর সহিংসতার ঘটনাও অব্যাহত রয়েছে। গণপিটুনির মতো আইন হাতে তুলে নেওয়ার ঘটনা বেড়েছে। এসব ঘটনা রোধে সরকারের নিষ্ক্রিয়তার তীব্র নিন্দা জানিয়ে প্রত্যেকটি ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তসহ ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে এমএসএফ।
ডিজিটাল আইনের অপব্যবহার
রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি ছিল পুরোপুরি নিবর্তনমূলক আইন। সরকারের পক্ষ থেকে ডিজিটাল মাধ্যমে অপরাধ দমনের কথা বলা হলেও বাস্তবে সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী ও বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধেই এটি বেশি ব্যবহৃত হয়েছে। সরকার সব পেশাজীবী সংগঠনের সাথে আলোচনা ও দাবি উপেক্ষা করে নিজেদের মতো করে বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নাম পরিবর্তন করেছে।