ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের মধ্যকার যুদ্ধ গড়িয়েছে ১৩তম দিনে। এই কয়দিনে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত সাড়ে ৩ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও অন্তত ১২ হাজার। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গতকাল বুধবার পর্যন্ত হতাহতের তালিকা দিয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-ক্বেদরা হতাহতের সংখ্যা নিশ্চিত করেছেন। এ সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘ইসরায়েলি ভয়াবহ আগ্রাসনের মারাত্মক ফলাফল এসব প্রাণহানি।’ তিনি আরও বলেন, ‘ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর এই গণহত্যা ফিলিস্তিনিদের ওপর জাতিগত নির্মূলীকরণ প্রচেষ্টা। এর ফলে ফিলিস্তিনিদের অস্তিত্বকেই হুমকির মুখে পড়ে গেছে।’
হতাহতের সংখ্যা নিশ্চিত করে আশরাফ আল-ক্বেদরা বলেন, ‘ইসরায়েলি আগ্রাসনে মোট নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৪৭৮ জনে। এ ছাড়া বিভিন্ন মাত্রায় আঘাত পেয়ে আহত হয়েছে আরও অন্তত ১২ হাজার ফিলিস্তিনি।’ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আরও জানান, হতাহতদের মধ্যে ৭০ শতাংশই নারী, শিশু ও বয়স্ক নাগরিক।
আল-ক্বেদরা আরও বলেন, ‘ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজার মোট ৪৩৩টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ২ হাজার ৪২১ জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা গিয়েছে।’ গাজা প্রশাসনের এই কর্মকর্তার মতে, ইসরায়েলি হামলায় সৃষ্ট ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো অনেকেই আটকে রয়েছে।
উল্লেখ্য, ৭ অক্টোবর সকালে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা শুরু করে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। তারা মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যে ইসরায়েলের দিকে ৫ হাজার ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে। একই সঙ্গে স্থলপথ, জলপথ ও আকাশপথে দেশটিতে ঢুকে পড়েন হামাস যোদ্ধারা। ইসরায়েলও এমন পরিস্থিতিতে যুদ্ধ ঘোষণা করে হামাসের বিরুদ্ধে। এর পর থেকেই দফায় দফায় গাজায় বিমান, স্থল এমনকি নৌবাহিনীর জাহাজ থেকে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।