সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৫, ০৩:৫৩ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
জাতিসংঘে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার ফিলিস্তিনকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতির সপ্তাহখানেক পর তার লেবার পার্টির সম্মেলনে দলীয় প্রতিনিধিদের ভোটে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনকে গণহত্যা হিসেবে মেনে নেওয়া হলো। এর ফলে ইসরায়েলের ওপর যুক্তরাজ্যের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার দাবি আরও জোরালো হলো।
শুধু তাই নয়, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ইসরায়েল অধিকৃত অঞ্চল থেকে পণ্য আমদানি বন্ধ ও যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় বাধাহীনভাবে মানবিক ত্রাণ পাঠানোর বিষয়টিও সামনে উঠে এলো।
মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর বিবিসি জানায়, লিভারপুলে লেবার পার্টির সম্মেলনে দলীয় প্রতিনিধিরা ভোটের মাধ্যমে গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার স্বীকৃতি দিয়েছে। তারা সরকারের প্রতি গাজায় গণহত্যা বন্ধে সম্ভাব্য সব ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
এতে আরও বলা হয়, যদিও ব্রিটিশ সরকার এই দলীয় সিদ্ধান্ত মানতে বাধ্য নয় তবুও প্রস্তাবে ইসরায়েলের কাছে সব ধরনের অস্ত্র বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞার দাবি জানানো হয়েছে।
জাতিসংঘ বলছে, ইসরায়েল গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর গণহত্যা চালিয়েছে।
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির সম্মেলনে এই দলীয় ভোটে ‘স্টারমার সরকারের চরম পরাজয়’ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্যালেস্টাইন সলিডারিটি ক্যাম্পেইনের (পিএসসি) পরিচালক বেন জামাল।
তিনি মনে করেন, এই ঐতিহাসিক দলীয় সিদ্ধান্তকে এখন অবশ্যই ব্রিটিশ সরকারকে নীতি হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। ইসরায়েলের ওপর সর্বাত্মক অবরোধ ও অস্ত্র বিক্রিতে পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা দিতে হবে।
বেন জামাল বলেন, ‘সরকার যদি এই দাবি এড়িয়ে যায় তাহলে বুঝতে হবে তারা ঘটনাটিকে অস্বীকার করছে। তারা জনদাবির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। তারা ক্রমেই সারাবিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। নিজ দল থেকেও ছিটকে পড়বে।’
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এ বছর লেবার পার্টির সম্মেলনে গাজা যুদ্ধ নিয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে। গত সোমবার অর্থমন্ত্রী র্যাচেল রিভের বক্তব্যের পুরো সময় এক ব্যক্তি ফিলিস্তিনের বিশাল আকৃতির পতাকা নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। স্যাম পি নামের সেই ব্যক্তি ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডে যুক্তরাজ্যের সম্পৃক্ততার অভিযোগ তোলেন।
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাজ্য কেন এখনো ইসরায়েলকে অস্ত্র দিচ্ছে? ফিলিস্তিনে খাবারের চরম অভাবের জন্য লেবার পার্টি দায়ী।’
সংবাদমাধ্যম দ্য জেরুসালেম পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, দ্য টেলিগ্রাফ পত্রিকায় ডেপুটি পলিটিক্যাল এডিটর ড্যানিয়েল মার্টিন লিখেছেন, ‘নিজ দলের সম্মেলনে অপমানিত হলেন স্যার কিয়ার স্টারমার।’