ইসরায়েলের বোমা হামলায় গাজায় ২ হাজারের বেশি শিশু মারা গেছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়া শিশুদের এই সংখ্যাকে ‘বিস্ময়কর’ বলে উল্লেখ করেছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ।
ইউনিসেফের মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার আঞ্চলিক পরিচালক আদেলে খোদর বলেছেন, ‘গাজা উপত্যকার পরিস্থিতি আমাদের সামষ্টিক বিবেকের ওপর ক্রমবর্ধমান কলঙ্কের দাগ। শিশুদের মৃত্যু ও আহত হওয়ার হার স্রেফ বিস্ময়কর।’
‘আরও ভয়ের বিষয় হলো, উত্তেজনা যদি না কমে এবং খাবার, পানি, চিকিৎসা সামগ্রী ও জ্বালানিসহ মানবিক সহায়তা যদি ঢুকতে দেওয়া না হয়, তাহলে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়বে।’
তিন সপ্তাহের কম সময়ে গাজায় ইসরায়েলের হামলায় ২ হাজার ৩৬০ শিশু নিহত হয়েছে জানিয়ে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং মানবিক সহায়তার জন্য টেকসই ও নিরবচ্ছিন্ন প্রবেশে সুযোগ করে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ইউনিসেফ।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) ইউনিসেফ জানিয়েছে, ইসরায়েলের `অবিরল হামলায়` গাজায় ৫ হাজার ৩৬৪ শিশু আহত হয়েছে। সংস্থাটির তথ্য অনুসারে, অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে প্রতিদিন ৪০০-র বেশি শিশু নিহত বা আহত হচ্ছে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা চালায় ফিলিস্তিনি মুক্তিকামী সংগঠন হামাস। এতে ১ হাজার ৪০০ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারায়।
জবাবে সেদিন থেকেই গাজায় বিরামহীন বোমাবর্ষণ করছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। ইসরায়েলের বোমাবর্ষণে অন্তত ৫ হাজার ৭৯১ জন প্রাণ হারিয়েছে। গাজার ২৩ লাখ জনসংখ্যার প্রায় ৫০ শতাংশই শিশু।
ইউনিসেফ বলেছে, ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ, বিরামহীন আক্রমণ, বাস্তুচ্যুতি ও খাবার, পানি, ওষুধের মতো নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজা উপত্যকার প্রায় প্রতিটি শিশুই গভীর যন্ত্রণাদায়ক ঘটনা ও মানসিক আঘাতের সম্মুখীন হয়েছে।
পশ্চিম তীরেও হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে বলে জানিয়েছে ইউনিসেফ। পশ্চিম তীরে এখন পর্যন্ত ২৮ শিশুকে হত্যা করা হয়েছে, আহত হয়েছে ১৬০ জন।